ভুবন বাদ্যকরের কাঁচা বাদাম গানটি ভাইরাল হওয়ার পর রাতারাতি তিনি সেলিব্রিটি হয়ে উঠেছিলেন। শুধু বাংলা বা ভারত নয়, বিশ্বের একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়ে তার সুনাম। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। নামের পাশাপাশি আর্থিকভাবেও উন্নতি হয়েছিল ভুবন বাদ্যকরের।
ভুবন বাদ্যকর বাদাম বিক্রি করতেন। টানাটানির সংসার ছিল। কিন্তু তার ‘কাঁচা বাদাম’ গানটি রাতারাতি তাকে খ্যাতি এনে দিয়েছিল। হয়েছিল বাড়ি-গাড়ি, একাধিক নামী দামি জায়গা থেকে গানের জন্য ডাক পাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি সেই ভুবন বাদ্যকরই ‘বিপদে’ পড়েছেন! ভুবনের দাবি ভুল বুঝিয়ে তার থেকে কপি রাইট কেড়ে নেওয়া হয়েছে এই গানের।
ভুবন বাদ্যকরের অভিযোগ বীরভূমের ‘গোধূলিবালা মিউজিক’-এর কর্নধার গোপাল ঘোষের বিরুদ্ধে। ভুবন বাদ্যকর বলেন, “কপি রাইট নিয়ে মামলা করেছি। কাঁচা বাদাম গান নিয়ে সমস্যা মিটছে না। গোপালদের একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। ওরা বলেছিল আমাকে সেখানে একটি গান করতে হবে। বিনিময়ে তিন লাখ টাকা দেওয়া হবে। আমাকে সেই সময় বলা হয়েছিল একটি সইয়ের জন্য। আমি খুব একটা ভালো ইংরেজি জানি না। লেখাপড়াও খুব একটা বেশি জানা নেই। আমি সরল মনে সই করেছিলাম। এইভাবেই ও কপি রাইট নিয়ে নিয়েছিল।”
অগোচরে ভুবনের চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে কাঁচা বাদাম গানের কপিরাইট ধারক হয়ে যান গোধূলিবালা মিউজিক’-এর কর্নধার গোপাল ঘোষ। এক্ষেত্রে তার অনুমতি ছাড়াই যখন কাঁচা বাদাম গানটি ব্যবহার করা হচ্ছে তখন তাতে কপিরাইট আসছে। সেক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানা অথবা শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে অন্য ভিডিও নির্মাতাদের এমনকি গানের স্রষ্টা ভুবন বাদ্যকরকেও।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভুবন বাদ্যকর আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন এবং সেখানে অভিযোগ করেছেন।
ভুবন বাদ্যকর অভিযোগ আনার পাশাপাশি পাল্টা অভিযোগ এনেছেন গোধূলিবালা মিউজিক’-এর কর্নধার গোপাল ঘোষ। তিনি সরাসরি ভুবন বাদ্যকরকে মিথ্যাবাদীও বলেছেন। পাশাপাশি তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করে সবকিছু জানাবেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানান।
গোপাল ঘোষ বলেন, “আমি নিজের জায়গায় ঠিক রয়েছি। এখন কোনও মন্তব্য করব না। শীঘ্রই এই নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করব।”
ভুবন বাদ্যকরের তোলা যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যা, এমনটাই মন্তব্য গোপালের।
এম.কে
০৫ মার্চ ২০২৩