রাজধানী ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার সকালে শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বংশালের কসাইতলী এলাকায় একটি পাঁচতলা ভবনের রেলিং ভেঙে নিচে পড়লে সেখানে পথচারী তিনজন মারা যান। বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে অনুভূত এই ভূমিকম্প রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। হঠাৎ তীব্র কম্পনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভবন হেলে পড়া, দেয়ালে ফাটল এবং জিনিসপত্র পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কম্পনের তীব্রতায় মানুষ ঘরবাড়ি ও অফিস থেকে আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা জানান, ভূমিকম্পটি সাম্প্রতিক বছরের মধ্যে অন্যতম তীব্র অনুভূত কম্পন। তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, আতঙ্কিত না হয়ে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করাই জরুরি। প্রাথমিক বিশ্লেষণে জানা গেছে, ভূমিকম্পের পর ক্ষুদ্র আফটার শকের সম্ভাবনা রয়েছে তবে বড় ধরনের ঝুঁকি দেখা যায়নি।
কম্পন অনুভূত হওয়ার মুহূর্তে রাজধানীজুড়ে সৃষ্টি হয় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। তেজগাঁওয়ের বাসিন্দা শাম্মী আক্তার বলেন, “হঠাৎ মেঝে দুলতে শুরু করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই জিনিসপত্র পড়ে যেতে থাকে। ২০ বছরে এমন অভিজ্ঞতা হয়নি।” কারওয়ান বাজারে একটি বহুতল ভবনের নিরাপত্তাকর্মী জানান, ভবনটি এত জোরে দুলছিল যে সবাই চিৎকার করতে করতে নিচে নেমে যায়।
এ বছরের ৫ মার্চ ঢাকা ও আশপাশেও মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল, যার মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। এরপর ২৮ মে ভারতের মণিপুরের মোইরাং এলাকায় আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানলে তার প্রভাবও বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও রাজধানীতে অনুভূত হয়। সাম্প্রতিক ধারাবাহিক ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞদের নতুন করে ঝুঁকি মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তার কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।
এম.কে

