11.1 C
London
October 30, 2025
TV3 BANGLA
Uncategorized

মা নির্দেশ দেননি, কিছু পুলিশ কর্মকর্তা অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছিলঃ জয়

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিষ্ঠুর বল প্রয়োগ এবং দমনপীড়নের পর তা রূপ নেয় সরকার পতনের দাবিতে।

কিন্তু শেখ হাসিনা বিক্ষোভকারীদের দমন করার এই নির্দেশ দেননি বলে দাবি করেছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। শুক্রবার জয়ের বক্তব্যের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রয়টার্সকে জয় বলেন, ‘আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী দেশে শেখ হাসিনা বিচারের মুখোমুখি হতে রাজি ছিলেন। আটক করার হুমকি আমার মাকে কখনো বিচলিত করেনি। আমার মা কোনো ভুল করেননি। তার সরকারের কর্মকর্তাদের অবৈধ কাজের অর্থ এই নয় যে, এসব করতে আমার মা নির্দেশ দিয়েছিলেন, এর অর্থ এই নয় যে এসবের জন্য আমার মা দায়ী।’

বিরোধী রাজনৈতিক দলের অভিযোগ, বিক্ষোভ দমনে নির্বিচার গুলি চালায় পুলিশ। প্রায় মাসব্যাপী আন্দোলনে তিন শতাধিকেরও বেশি ছাত্র-জনতা নিহত হয়। আন্দোলকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে সহিংসতার শিকার হয় পুলিশও।  কিন্তু অতিরিক্ত বল প্রয়োগের পেছনে কিছু পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়ী করেছেন জয়।

জয় আরও বলেন, ‘সরকার অনেক বড় কার্যক্রম। পুলিশ সহ যারা দায়ী তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা করতে আমার মা একেবারেই কাউকে কোনো নির্দেশ দেননি। পুলিশ সহিংসতা বন্ধ করতে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কিছু পুলিশ কর্মকর্তা অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছিলেন।’

‘আমাদের সরকার এবং আমি এসব আলোচনার অংশ হয়েছিলাম। আমি মাকে বলেছিলাম, আমাদের দ্রুত আমাদের ছাত্র শাখাকে হামলা না চালাতে, সহিংসতা বন্ধ করতে বলা দরকার। আমরা শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালানো পুলিশ কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করেছি। আমাদের পক্ষে যা সম্ভব ছিল, আমরা সব করেছিলাম।’

সরকার পতন হলেও বিরাজমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ অপরিহার্য অংশ মনে করেন জয়। দলের হাল ধরতে প্রয়োজন দেশে আসতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি। পরিস্থিতি যাই হোক, আওয়ামী লীগকে কেউ নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না বলেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী পুত্র।

বিগত দেড় দশক ধরে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন জয়। তার ভাষায়, ‘আমি কখনো অবৈধ কিছু করিনি। সুতরাং দেশে ফিরতে কে কীভাবে আমাকে বাধা দেবে? রাজনৈতিক দলগুলো কোথাও যাচ্ছে না। কেউ আমাদের নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না। আমাদের সহায়তা ছাড়া, আমাদের সমর্থকদের ছাড়া কেউ বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা আনতে পারবে না।’

সূত্রঃ রয়টার্স

এম.কে
১০ আগস্ট ২০২৪

আরো পড়ুন

ভারতের সামরিক সহযোগীতার উদ্যোগ ও করোনা পরবর্তী বিশ্ব Indian Army readying teams for Bangladesh

নতুন করে লকডাউনের ইঙ্গিত দেখছেন না বরিস জনসন

অনলাইন ডেস্ক

Weekly Reload 16 August 2020