মানুষের মস্তিষ্কে বিশেষ ধরনের চিপ স্থাপনের বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার অনুমতি পেয়েছে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন নিউরালিংক। এর ফলে মানুষের মস্তিষ্কে বিশেষ ধরনের চিপ স্থাপনের মাধ্যমে সরাসরি কম্পিউটারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে। সম্প্রতি এক টুইটে বিষয়টি জানিয়েছে নিউরালিংক।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অথরিটি (এফডিএ) নিউরালিংককে মানুষের মস্তিষ্কে বিশেষ ধরনের চিপ স্থাপনের বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার অনুমতি দিয়েছে।
এ বিষয়ে এক টুইটে নিউরালিংক বলে, আমরা উচ্ছ্বসিত যে, আমাদের প্রতিষ্ঠান প্রথমবারের মতো মানুষের মস্তিষ্কে চিপ স্থাপনের বিষয়ে পরীক্ষা চালানোর অনুমতি পেয়েছে। এটি মূলত নিউরালিংকের সঙ্গে এফডিএ’র ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ফলাফল।
ইলন মাস্কের ব্রেইন-চিপ ফার্ম জানিয়েছে, নিউরালিংক ইমপ্লান্ট কোম্পানি কম্পিউটারের সঙ্গে মস্তিষ্ককে সংযুক্ত করে মানুষের দৃষ্টিশক্তি এবং গতিশীলতা আনতে সহায়তা করতে চায়।
নিউরালিংক আশা করছে, প্যারালাইসিস ও অন্ধত্বের মতো অবস্থার চিকিৎসাসহ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কম্পিউটার ও মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে সহায়তা করার জন্য মাইক্রোচিপ ব্যবহার করা হবে।
তবে কারা নিউরালিংকের প্রথমবারের চিপ স্থাপনের পরীক্ষায় অংশ নেবেন, সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এর আগে, গত বছর ইলন মাস্ক বলেছিলেন, আমরা আমাদের প্রথম মানব ইমপ্ল্যান্টের জন্য প্রস্তুত হতে কঠোর পরিশ্রম করছি। সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে আমরা এ কাজ করতে চাই। পাশাপাশি একজন মানুষের মধ্যে ডিভাইসটি স্থাপন করার আগে তা ভালোভাবে কাজ করবে কিনা, সে বিষয়েও নিশ্চিত হতে চাই।
২০১৯ সালে ইলন মাস্ক জানিয়েছিলেন, ২০২০ সালের মধ্যে নিউরালিংক মানবদেহে পরীক্ষামূলকভাবে চিপ স্থাপনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করবে। কিন্তু করোনা মহামারি ও অন্যান্য কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি।
২০২২ সালের দিকে নিউরালিংক সংস্থাটি এফডিএ’র অনুমোদন চেয়েছিল। সে সময় নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করা হয়।
নিউরালিংক এমন একটি প্রকল্প, যার মাধ্যমে মানুষের মস্তিষ্কে বিশেষ ধরনের চিপ স্থাপন করা হবে ও এর মাধ্যমে ওই ব্যক্তির মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটারের সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হবে। টেসলা, স্পেসএক্স ও টুইটারসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিকানার পাশাপাশি এ উদ্যোগের মালিকও ইলন মাস্ক।