18 C
London
September 20, 2024
TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিক

মার্কিন শ্রমনীতি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক মূল্যায়ন রিপোর্ট, উৎকণ্ঠায় ব্যবসায়ী মহল

যুক্তরাষ্ট্রের ‘নতুন শ্রমনীতি’ কার্যকর হলে ‘বাংলাদেশে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা’ শঙ্কা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক মূল্যায়ন রিপোর্টে জিএসপি বাতিল হতে পারে এ আশঙ্কায় ঘুম হারাম হয়ে গেছে বাংলাদেশে ব্যবসায়ীদের। যেসব ব্যবসায়ী মহাসম্মেলন করে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন; তারাই এখন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানি কমে যাওয়ায় দর কষাকষি এবং রাজনৈতিক সংকটের সুরাহার তাগিদ দিচ্ছেন বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়। ইতিমধ্যেই ডলার সংকটের কারণে অক্টোবর-নভেম্বর টানা দুই মাস রফতানিতে ধাক্কা লেগেছে। যুক্তরাষ্ট্রে গার্মেন্টস পণ্য রফতানি কমেছে। এছাড়াও গত পাঁচ বছরে শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে তথ্যানুযায়ী জানা যায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক মূল্যায়ন রিপোর্টের কারণে জিএসপি বন্ধ হলে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান করা গার্মেন্টস শিল্প টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিলে কানাডা, যুক্তরাজ্য, জাপানও একই নীতি গ্রহণ করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শ্রমনীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, নির্বাচন ঘিরে বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা খাত মার্কিন নীতির কষাঘাতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা আছে, এমতাবস্থায় নতুন এ শ্রমনীতির বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার আছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও রিজার্ভ সঙ্কটের মধ্যে পুরো বিষয়টি হালকা করে দেখার সুযোগ নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে গত ২০ নভেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে তাতে রাজনৈতিক কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। আবার ২৭ দেশ নিয়ে গঠিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক মূল্যায়ন রিপোর্টে বাংলাদেশকে নেতিবাচক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। এতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে জিএসপি বাতিল হতে পারে এমন ইংগিত প্রকাশ পেয়েছে। ফলে গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। কারণ বাংলাদেশ থেকে যে পণ্য রফতানি হয় তার প্রায় ২০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে এবং এক-তৃতীয়াংশ ইইউ দেশগুলোতে যায়। এ ছাড়াও যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপানে রফতানি হয় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক। ফলে যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিলে গার্মেন্টস শিল্প টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়বে। ইতিমধ্যেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়ে আন্দোলন চলছে। সরকার নির্ধারিত সর্বনিম্ন সাড়ে ১২ হাজার টাকা বেতন শ্রমিকরা মেনে নেয়নি। এ নিয়ে শ্রমিক আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ৩ জন শ্রমিক নিহত হয়েছে। অবশ্য গতকাল সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, শ্রম আইনের সংশোধন ও বেজা আইনের মাধ্যমে শ্রম অধিকারের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশে। শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রকে এই অগ্রগতি জানানো হবে। নতুন শ্রমনীতি ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী শ্রম পরিবেশ আরও উন্নত হোক। বাংলাদেশও এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

সূত্রঃইনকিলাব

এম.কে
০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আরো পড়ুন

স্কুলে মোবাইল ফোন বন্ধে আসছে নতুন নিষেধাজ্ঞা

কানাডায় অস্থায়ী বিদেশি কর্মীদের জন্য দুঃসংবাদ

মালদ্বীপে চীনপন্থি নতুন প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজু