পোশাক ও ভ্রমণের দাম বাড়ার সাথে সাথে এবছর জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে গেছে বহু গুন।কম্পিউটার গেম, কনসোল এবং বাচ্চাদের খেলনার উচ্চ চাহিদা মূল্যস্ফীতিকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। ।
অফিসিয়াল পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে পোশাকের খুচরা বিক্রেতারা দামে ছাড় দেয়ার কারণে এখন পোশাকের দাম দ্রুত গতিতে বাড়ছে। এক মাসে পোশাকের দাম ০.১ শতাংশ বেড়েছে, যেখানে ক্রিসমাস-পরবর্তী বিক্রির প্রথম সপ্তাহে সাধারণত দাম তুলনামূলক ভাবে কম থাকে।
খাদ্যের দাম হ্রাস পেয়েছে। বিশেষ করে শাকসবজি এবং মাংসের দাম আগের থেকে কম। খাদ্যের দাম কমে যাওয়ায় জীবনযাত্রার ব্যয় সামগ্রিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, জানায় জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস। অব্যাহত ছাড়ের কিছু প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ডিসেম্বরে পোশাকের দাম অনেক বেশি ছিলো, এনএসের উপ-জাতীয় পরিসংখ্যানবিদ জোনাথন অ্যাথো বলেন।
পেট্রোলের দাম সহ পরিবহণ ব্যয় বেড়েছে অনেকাংশে। পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে মূল্যস্ফীতি দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্যানথিয়ন ম্যাক্রোকোনমিক্সের প্রধান, অর্থনীতিবিদ স্যামুয়েল টমবস বলেন, আশা করছি এপ্রিল মাস পর্যন্ত জীবনযাত্রার ব্যয় সামগ্রিকভাবে কমে যেতে পারে। তবে সামনে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সম্ভবনা আছে বলেও জানান তিনি। তিনি যোগ করেছেন, ২০২১ এবং ২০২২ সাল জুড়ে দেশে মুদ্রাস্ফীতি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেন্ট
২০ জানুয়ারি ২০২১
এসএফ