ব্রিটেনে অবৈধভাবে কাজ করা ডেলিভারি রাইডারদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি এক ব্যাপক অভিযান পরিচালিত হয়েছে। হোম অফিসের ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট টিম সাত দিনের মধ্যে ১৭১ জন রাইডারকে গ্রেপ্তার করেছে, যার মধ্যে ৬০ জনকে যুক্তরাজ্য থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আটক রাখা হয়েছে। অভিযানের সময় গ্রাম, শহর ও নগরের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে কাজ করা রাইডারদের তৎক্ষণাৎ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে অবৈধ কর্মসংস্থান রোধে রেকর্ডসংখ্যক অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ১১,০০০টির বেশি পরিদর্শন ও ৮,০০০ গ্রেপ্তার হয়েছে, যা যথাক্রমে ৫১% এবং ৬৩% বৃদ্ধি নির্দেশ করে। এছাড়া, জুলাই ২০২৪ থেকে প্রায় ৫০,০০০ অনিবন্ধিত ব্যক্তিকে যুক্তরাজ্য থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, আর মানব পাচারের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার, দণ্ড এবং জব্দ কার্যক্রম ৩৩% বেড়েছে।
বর্ডার সিকিউরিটি মন্ত্রী অ্যালেক্স নরিস Deliveroo, Just Eat এবং Uber Eats-এর সঙ্গে বৈঠক করে অবৈধ কর্মসংস্থান রোধে প্ল্যাটফর্মগুলোর উদ্যোগ পর্যালোচনা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে এলোমেলো ফেসিয়াল রিকগনিশন চেক বৃদ্ধি এবং আশ্রয়প্রার্থী হোটেলের অবস্থান নজরদারি, যাতে অবৈধ কাজের হটস্পটগুলো চিহ্নিত করা যায়।
এছাড়া, নতুন বর্ডার সিকিউরিটি, অ্যাসাইলাম ও ইমিগ্রেশন আইন অনুমোদিত হয়েছে। এতে গিগ ইকোনমিতে কাজের অধিকার যাচাইয়ের নিয়ম আরও কঠোর করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, বৈধ পরিচয় যাচাইয়ে ব্যর্থ নিয়োগদাতারা পাঁচ বছর জেল, £৬০,০০০ জরিমানা এবং ব্যবসা বন্ধের শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন।
‘অপারেশন ইকুয়ালাইজ’-এর আওতায় সলিহাল, নিউহ্যাম ও নরউইচসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। চীনা, বাংলাদেশি ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাইডাররা গ্রেপ্তার হন এবং তাদের মধ্যে বেশিরভাগকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আটক রাখা হয়েছে। স্থানীয় কমিউনিটিগুলোকে অনাকাঙ্ক্ষিত দোকানপাট বন্ধ করার অধিকারের সঙ্গে হাই স্ট্রিটের ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
সরকারের লক্ষ্য হলো অবৈধ অভিবাসন ও অবৈধ কর্মসংস্থান দমন করা এবং অপরাধীদের কালো অর্থ উদ্ধার করা। গত বছর £৩০০ মিলিয়নের বেশি অপরাধমূলক সম্পদ উদ্ধার করা হয়েছে। এ উদ্যোগ ব্রিটেনের সৎ ব্যবসায়ীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি কমিউনিটিগুলোকে শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে নেয়া হচ্ছে।
সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া
এম.কে

