TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

যুক্তরাজ্যে অভিবাসীদের বলির পাঁঠা না বানিয়ে প্রকৃত সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নিনঃ দাতব্য সংস্থা

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদের উদ্দেশে ১০৫টি সংস্থা যৌথভাবে একটি খোলা চিঠি পাঠিয়েছে, যেখানে অভিবাসীদের প্রতি দোষারোপ বন্ধ করে যুক্তরাজ্যের প্রকৃত সংকটগুলোর সমাধানে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। রিফিউজি অ্যাকশনের উদ্যোগে প্রস্তুত এ চিঠিতে সেভ দ্য চিলড্রেন, অক্সফাম, শেল্টার, মাইন্ড, গ্রিনপিস, ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থসহ বহু অভিবাসন ও বর্ণবাদবিরোধী সংগঠন এবং বর্ডার ফোর্স কর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী পিসিএস ইউনিয়ন স্বাক্ষর করেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, “চরম বৈষম্য, ভেঙে পড়া এনএইচএস, আবাসন খাতে বিনিয়োগের অভাব ও জলবায়ু জরুরি অবস্থা মোকাবিলা না করে শরণার্থীদের বলির পাঁঠা বানানো কোন সমাধান নয়। বরং এটি সমাজের প্রকৃত সমস্যাগুলো থেকে দৃষ্টি সরিয়ে দেয়।” স্বাক্ষরকারীরা সতর্ক করেছেন, ডানপন্থী উসকানিতে শরণার্থীদের বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভ ইতোমধ্যেই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করছে, যা সামাজিক বন্ধন ছিন্ন করার ঝুঁকি তৈরি করেছে।

রিফিউজি অ্যাকশনের প্রধান নির্বাহী টিম নাওর হিলটন বলেন, “কৃচ্ছ্রসাধন নীতি ও ক্রমবর্ধমান সম্পদ বৈষম্যই পরিবারগুলোকে খাদ্যব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল করছে, চিকিৎসা পেতে ও নিরাপদ বাসস্থানের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষার জন্ম দিচ্ছে। অথচ এর দায় অন্যায়ভাবে শরণার্থীদের ওপর চাপানো হচ্ছে।”

গ্রিনপিস ইউকের সহ-নির্বাহী পরিচালক আরিবা হামিদ মন্তব্য করেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো আমিও অভিবাসনের সুফলের উদাহরণ। আমাদের অর্থনীতি, এনএইচএস ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো অভিবাসীদের অবদানেই টিকে আছে। তাই ভদ্রতা ও অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হলে অভিবাসন নিয়ে বিতর্কের ভাষা বদলাতে হবে।”

হোম অফিস অবশ্য ভিন্ন অবস্থান জানিয়েছে। এক মুখপাত্র বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন, নিরাপদ সীমান্ত একটি সহনশীল ও উদার দেশের অপরিহার্য শর্ত। এজন্য অভিবাসন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের বিকল্প খতিয়ে দেখা হবে।”

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আরো পড়ুন

যুক্তরাজ্যের স্টুডেন্ট ভিসায় চীন থেকে রেকর্ড সংখ্যক আবেদন

এবার গাজায় গোয়েন্দা ড্রোন ‍উড়াবে যুক্তরাজ্য

যুক্তরাজ্যের সহায়তা কমলে ভয়াবহ পরিণতি হবে: ইউনিসেফের হুঁশিয়ারি