যুক্তরাজ্যে মার্কিন দূতাবাসের প্রায় ১৫ মিলিয়ন পাউন্ডের কনজেশন চার্জ ফি বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন। এই ফি’স আদায়ের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে আইনী উপায়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে প্রতিষ্ঠানটি।
অপরিশোধিত কনজেশন ফি এবং জরিমানা মিলিয়ে এক দশকে বিদেশি কূটনৈতিক মিশনদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সবচেয়ে খারাপ বলে তথ্য নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম।
টিএফএল দ্বারা প্রকাশিত পরিসংখ্যানে জানা যায়, মার্কিন দূতাবাসের মতো জাপান দূতাবাসের ১০.১ মিলিয়ন পাউন্ড, ভারতের হাই কমিশনের ৮.৬ মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানা বকেয়া রয়েছে। বকেয়া কনজেশন ফি’সের হিসাবে নাইজেরিয়া, চীন এবং রাশিয়া ঠিক এর পিছনেই অবস্থান করছে।
যুক্তরাজ্যে ২০০৩ সাল হতে চালু হয় কনজেশন চার্জ। যা গাড়িচালকদের উপর ১৫ পাউন্ড করে চার্জ করা হয় দৈনিক হিসাবে। যারা সেন্ট্রাল লন্ডনের ব্যস্ত রাস্তায় প্রবেশ করেন সপ্তাহের কর্মদিবসের পাঁচ দিন সকাল ৭ টা হতে সন্ধ্যা ৬ টার ভিতরে এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন ও ব্যাংক হলিডেতে দুপুর ১২ টা হতে সন্ধ্যা ৬ টার ভিতরে তাদের কনজেশন চার্জ পরিশোধ করতে হয়।
টিএফএল নথি অনুসারে, লন্ডনের বেশিরভাগ দূতাবাস যথাসময়ে কনজেশন চার্জ পরিশোধ করে যদিও কিছু কূটনৈতিক চ্যানেল চার্জ না দিয়ে জমিয়ে রেখেছে।
টিএফএল -এর একজন মুখপাত্র বলেন, “ আমরা স্পষ্ট জানি যে বিদেশী কূটনীতিক এবং কনস্যুলার কর্মীরা কনজেশন চার্জ প্রদান থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত নন। তাই বকেয়া পরিশোধ ও জরিমানা আদায়ের জন্য আমরা আন্তর্জাতিক আদালতের শরণাপন্ন হব। ”
টিএফএল পরিসংখ্যান অনুসারে, স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দূতাবাসগুলি লন্ডনে সর্বাধিক আইন মেনে চলতে দেখা যায়। ডেনমার্ক এবং সুইডেন কনজেশন চার্জে কখনও বকেয়া রাখে না।
লন্ডনে মার্কিন দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বলেছেন,
“ ১৯৬১ সালের কূটনৈতিক সম্পর্ক সম্পর্কিত ভিয়েনা কনভেনশন ও আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, কনজেশন চার্জ এমন একটি কর যা আমাদেরকে ছাড় দেওয়া হয়।”
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
২২ মে ২০২৪