ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানীয় উত্তেজনা মোকাবিলায় তারা শরণার্থীদের আবাসনের ব্যবস্থা স্থানান্তরে সাহায্য করতে আগ্রহী।
ইংল্যান্ড ও ওয়েলসজুড়ে কাউন্সিলগুলো জানিয়েছে, সরকার আশ্রয়প্রার্থীদের হোটেল থেকে স্থানান্তর করার চেষ্টা করছে এবং এই প্রক্রিয়ায় তারা সাহায্য করতে ইচ্ছুক।
অ্যাঞ্জেলা রেনারের আবাসন ও সম্প্রদায়বিষয়ক বিভাগ স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে ২০২৬ সালের চুক্তির ব্রেক ক্লজ প্রয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে। এই চুক্তি তিনটি বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে করা হয়েছে, যারা আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য হোটেল সরবরাহ করে।
যদিও প্রক্রিয়াটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, স্বরাষ্ট্র দপ্তরও এই পরিকল্পনাকে সমর্থন করছে। যা খরচ বাঁচাতে পারে এবং আশ্রয়প্রার্থীদের সুষমভাবে বিতরণের ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
গত শরৎকাল পর্যন্ত, ২০০টিরও বেশি হোটেলে ৩৬,০০০ জনেরও বেশি মানুষকে রাখা হয়েছিল। এই ব্যবস্থায় সরকারকে দৈনিক £৩.৭ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করতে হতো। এই হোটেলগুলো সরবরাহ করত সেরকো, মেয়ার্স এবং ক্লিয়ারস্প্রিংস নামে তিনটি বেসরকারি কোম্পানি। যদি ব্রেক ক্লজ প্রয়োগ না করা হয়, তবে চুক্তি ২০৩০ সাল পর্যন্ত চলবে।
ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের কাউন্সিলগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী স্থানীয় সরকার সমিতি (এলজিএ) জানিয়েছে, যদিও এই মডেলের পরিবর্তন সম্পর্কে তাদের কোনো আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং দেওয়া হয়নি, তবুও তারা সাহায্য করতে আগ্রহী।
এলজিএ-র চেয়ার লুইস গিটিন্স বলেন,“ কাউন্সিলগুলো শরণার্থী ও পুনর্বাসন কর্মসূচির মাধ্যমে নতুন আগমনকারীদের সহায়তায় একটি গৌরবময় ইতিহাস বহন করে।”
তিনি আরও বলেন, “আশ্রয়প্রার্থীদের আবাসনের ক্ষেত্রে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে। এটি নিশ্চিত করতে আমরা সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।”
আশ্রয়প্রার্থীদের হোটেল থেকে স্থানান্তরের যে কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাউন্সিলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় প্রয়োজন হবে। যাতে লোকজনকে সুষমভাবে বন্টন করা যায়।
রেনারের অভ্যন্তরীণ বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, হোটেলে রাখা আশ্রয়প্রার্থীদের কারণে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা গত গ্রীষ্মে কয়েকটি শহরে দাঙ্গার সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। যা রাদারহ্যামের “হলিডে ইন এক্সপ্রেস” হোটেলে আগুন লাগানোর চেষ্টার মতো সহিংস ঘটনার জন্ম দেয়।
কাউন্সিলের নেতৃত্বাধীন মডেলে স্থানান্তর করতে হলে অর্থায়নসহ বড় ধরনের পরিবর্তন দরকার হবে। তবে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর লাভ অপসারণ করলে সরকারের অর্থনৈতিকভাবে কিছুটা সাশ্রয় হতে পারে বলে ব্রিফিং ডকুমেন্টে উল্লেখ করা রয়েছে বলে জানা যায়।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
১৫ জানুয়ারি ২০২৫