5.3 C
London
December 23, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

যুক্তরাজ্যে কেয়ারহোমসে বিদেশি কর্মীরা মর্ডান স্লেভারির শিকার

যুক্তরাজ্যে কেয়ারহোমে কাজ করতে আসা বিদেশি শ্রমিকরা মর্ডান স্লেভারির শিকার হচ্ছেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়। যুক্তরাজ্যে ন্যাশনাল হেল্পলাইনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন অনেক ব্যক্তি নিজেদের দুরাবস্থার কথা তুলে ধরেছেন বলে জানা যায়।

ভুক্তভোগী অনেক ব্যক্তি তাদের দুরাবস্থার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, প্রচুর পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে তারা যুক্তরাজ্যে কেয়ার ভিসায় আসতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু যুক্তরাজ্যে এসে তারা কাজ পাচ্ছেন না,অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় কেয়ারহোম তার লাইসেন্স হারিয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২২ সালে হেল্পলাইনে কেয়ারহোম ও মর্ডান স্লেভারি সংক্রান্ত প্রায় ৭০০ টি ফোন কল রিসিভ করা হয়েছে। ২০২৩ সালে পরিসংখ্যানের সংখ্যাগুলি আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

সোমবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু শ্রমিককে যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ এবং স্পনসরশিপ প্রদানে কয়েক হাজার পাউন্ড চার্জ করা হয়েছে। কিন্তু আসলে স্পনসরশিপের খরচ মাত্র কয়েকশো পাউন্ড, যা প্রত্যেকটি স্পন্সরের নিজেদের পরিশোধ করার কথা। বেশিরভাগ স্পন্সর প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরা কর্মীদের পক্ষে খরচ পরিশোধ করে থাকে। যদিও কয়েকটি অসাধু নিয়োগকর্তা ও এজেন্টরা বিদেশি শ্রমিকদের নিকট হতে ২৫০০০ পাউন্ড চার্জ করে থাকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “এটা স্পষ্ট যে শ্রমিকরা এমন একটি দুষ্টচক্রের খপ্পরে পড়লে তা থেকে আর বের হয়ে আসতে পারে না।”

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে, সরকার কেয়ার ওয়ার্ককে শর্টেজ অকুপেশন লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করে যাতে প্রায় দেড় লাখের বেশি শ্রমিক ঘাটতি মোকাবেলা করা যায়। প্রায় সত্তর হাজার লোক ইতিমধ্যে কেয়ার ভিসায় প্রবেশ করেছেন বলে জানা যায়। কিন্তু এরপরেও এই সেক্টরে শ্রমিকের ঘাটতি বিদ্যমান। একটি দাতব্য সংস্থার প্রধান নির্বাহী অ্যান্ড্রু ওয়ালিস বলেছেন, বর্তমানে ভুল পদ্ধতির ফলে “শ্রম নির্যাতন ও শোষণ” বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি অনেক শ্রমিকের জন্য বিপর্যয় নিয়ে এসেছে। কিন্তু সুন্দর পদ্ধতির মাধ্যমে কেয়ার ওয়ার্কার আনা গেলে শ্রমিক ঘাটতি পূরণ হতো এবং শ্রমিকেরা শোষণের মুখে পতিত হতো না।

অ্যাডাল্ট সোশ্যাল সার্ভিসেসের অ্যাসোসিয়েশন অব ডিরেক্টরসের যৌথ-প্রধান নির্বাহী ক্যাথি উইলিয়ামস বলেছেন, যাদেরকে কেয়ার হোমের ভিসা লাইসেন্স দেয়া হয়েছে তা আরো কড়া নিয়মের ভিতরে দেয়া উচিত ছিল। এখন সিস্টেমকেই ভেঙ্গে ফেলছে এক অসাধু চক্র। যাতে কর্মীদের সংকট মোকাবেলা করা সম্ভবপর হবে না।

যুক্তরাজ্য সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের বিদেশী কেয়ারহোম কর্মীদের ন্যূনতম বেতন প্রদান করা উচিত। এই বিষয়ে সরকার দ্রুত তদন্ত করে একটি সঠিক ও স্থায়ী সমাধান আনতেও আগ্রহী।

এম.কে
২৩ অক্টোবর ২০২৩

আরো পড়ুন

ফুসফুস ক্যানসারের মৃত্যু ঝুঁকি অর্ধেক কমানোর ঔষধ আবিষ্কার

চীনকে ঠেকাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে তাইওয়ান

দাসত্বপ্রথা নিয়ে নেদারল্যান্ডসের রাজার ক্ষমা প্রার্থনা