গত বছর ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে প্রায় ৫৮,০০০টি অস্ত্র-সম্পর্কিত অপরাধ পুলিশে নথিভুক্ত হয়েছে – যার মধ্যে ছুরি, আগ্নেয়াস্ত্র কিংবা অন্যান্য বিপজ্জনক অস্ত্র বহনের অপরাধ অন্তর্ভুক্ত। যদিও ২০২৩ সালের তুলনায় এটি প্রায় ৮৫০টি কম, তবুও এটি উদ্বেগজনক রেকর্ড গড়েছে।
বিশেষভাবে, ছুরি বা ধারালো ব্লেড জাতীয় অস্ত্র বহনের অপরাধ রেকর্ড গড়েছে ২৮,০০০টি, আর ছুরি বা বন্দুক ছাড়া অন্যান্য অস্ত্র বহনের অপরাধও রেকর্ড গড়েছে ২২,০০০টি।
কোন এলাকাগুলোতে অস্ত্রধারী লোক বেশি?
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, শহরের কেন্দ্রীয় এলাকাগুলোতেই সবচেয়ে বেশি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। বার্মিংহামের সেন্ট্রাল এলাকায় ১৫১টি অস্ত্র অপরাধ রেকর্ড হয়েছে – যা দেশের যেকোনো শহর কেন্দ্রের তুলনায় বেশি। এর পর রয়েছে ওয়ালসল সেন্ট্রাল (১৩১টি) এবং লিডস সিটি সেন্টার (১২৯টি)।
তবে আশেপাশের আবাসিক এলাকাগুলোর পরিস্থিতিও কম উদ্বেগজনক নয়। যেমন পোর্টসমাউথের আবাসিক এলাকা সোমারস টাউনে ৩৯টি অস্ত্র অপরাধ হয়েছে, যা প্রতি ১০,০০০ জনে ৩৭টি – অর্থাৎ গড়ে প্রতি ২৭২ জনে একজন অস্ত্র বহন করে। স্লাফের সাবেক গ্রাম চালভিতেও অস্ত্র অপরাধ হয়েছে ৩৪টি, যা প্রতি ১০,০০০ জনে ২৪টি।
এই তথ্যগুলো সরকার নির্ধারিত ‘মিডল সুপার আউটপুট এরিয়া (MSOA)’-তে পাওয়া গেছে, যার জনসংখ্যা সাধারণত ৭,০০০ থেকে ১০,০০০ জনের মধ্যে। তবে গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশের আওতাধীন এলাকার তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।
সরকার ইতিমধ্যে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। সম্প্রতি হোম অফিস ঘোষণা করেছে, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে ছুরি-সংক্রান্ত সহিংস কনটেন্ট না সরালে প্রযুক্তি কোম্পানি ও তাদের কর্মকর্তাদের ওপর সর্বোচ্চ £৭০,০০০ জরিমানা করা হবে।
এছাড়াও, ২০২৪ সালে সরকার জম্বি-ধাঁচের ছুরি ও ম্যাচেটি নিষিদ্ধ করেছে। জুলাইয়ে শুরু হবে একটি দেশব্যাপী অস্ত্র জমা দেওয়ার কর্মসূচি। অন্যান্য পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে:
*অনলাইন ছুরি বিক্রেতাদের জন্য দ্বি-স্তর যাচাই ব্যবস্থা।
*১৮ বছরের কম বয়সীদের কাছে অস্ত্র বিক্রির শাস্তি ৬ মাস থেকে বাড়িয়ে ২ বছর।
*সহিংসতার উদ্দেশ্যে অস্ত্র রাখলে সর্বোচ্চ ৪ বছরের কারাদণ্ড।
ক্রাইম ও পুলিশিং মন্ত্রী ডেম ডায়ানা জনসন বলেন,
“অনলাইনে প্রতিদিন শিশু-কিশোররা যে ভয়াবহ সহিংস কনটেন্ট দেখে, তা মেনে নেওয়া যায় না। তরুণদের বিশেষ করে ছেলেদের রক্ষা করতে আমাদের আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।”
সূত্রঃ মিরর
এম.কে
১৮ মে ২০২৫