যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ব্রিটেনের গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)। টিউলিপ সিদ্দিকের ব্যাপারে তথ্য নিতে গোপনে বাংলাদেশে এসেছিলেন দেশটির গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
তারা বাংলাদেশের দুর্নীতিবিরোধী তদন্তকারীদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই বৈঠক করে ব্রিটেনের গোয়েন্দাদের একটি দল। বাংলাদেশি কর্মকর্তারা তাদের জানিয়েছেন, তারা টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির নতুন তথ্য জোগাড় করতে সমর্থ হয়েছেন। ব্রিটিশ কর্মকর্তারা এখন টিউলিপ সিদ্দিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যাচাই, ই-মেইলের তথ্য যাচাই, এমনকি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ডাকতে পারে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা বাংলাদেশের দুর্নীতিবিরোধী তদন্তকারীদের সঙ্গে যে গোপন বৈঠক করেছেন তার আয়োজন করে ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন।
ওই বৈঠকে ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে টিউলিপের দুর্নীতি নিয়ে নতুন তথ্য-প্রমাণ দেওয়া হয়। গত ৫ আগস্ট টিউলিপের খালা শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ব্রিটিশ গোয়েন্দারা দুইবার ঢাকা সফর করেছেন।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুই ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির কাছ থেকে লন্ডনে যথাক্রমে সাত লাখ ও ছয় লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড মূল্যের দুটি ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার অভিযোগ ওঠার পর এরই মধ্যে মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন টিউলিপ।
বাংলাদেশ সরকারের সূত্র জানায়, বৈঠকে এনসিএর প্রতিনিধিদল আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী টিউলিপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আনা অভিযোগ তদন্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে।
ওই সূত্র আরো জানায়, এনসিএ যুক্তরাজ্যের হ্যাম্পস্টেড এবং হাইগেট এমপির বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টাও করতে পারে।
যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো প্রমাণিত হলে তার ১০ বছর বা তারও বেশি সময়ের জেল হতে পারে।
এম.কে
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫