বিশেষজ্ঞদের মতে চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট কিছু নিত্ত প্রয়জনীয় জিনিসের আমদানি ব্যয় বাড়াতে পারে।
এছাড়াও শুল্কের কারণে পণ্য পরিবহন ব্যয়ও বাড়তে পারে এবং মুদ্রাস্ফীতিও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার।
যুক্তরাজ্যের লজিস্টিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মি. ওয়েলস বলেন, প্রতিদিন আমদানি গৃহস্থালী জিনিস বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার শুল্কের অধীনে থাকায় আরও ব্যয়বহুল হবে। ৩০ শতাংশ বা তারও বেশি দাম বাড়তে পারে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।
বিশেষ করে ২০২১ এর প্রথম দিকে যখন তাজা খাবার আমদানির উপর নির্ভর করা হয় তখন দাম বাড়ার সম্ভবনা বেশি বলে জানান তিনি।
যুক্তরাজ্যের ফ্রেইট ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান, সতর্ক করে দিয়েছেন ইইউতে প্রবেশের জন্য যে পরিমাণ লরি আসার পারমিট পাওয়া যায় তার সীমাবদ্ধতার কারণে দেশজুড়ে ব্যবসাকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
যুক্তরাজ্যের অপারেটরদের জন্য যে পারমিট কোটা পাওয়া যায়, তা চারটি কারণে কমবে। এর কারণে পুরো দেশের ব্যবসা ঝুঁকিতে পড়বে বলে জানান। সরকারকে শুধু আমাদের দেশের শিল্পকেই নয় বরং সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিকে রক্ষার জন্য ব্রাসেলসের সাথে একটি চুক্তি করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রধান আলোচক মিচেল বার্নিয়ার বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা দরকার।
অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলনে ইইউ নেতারা যুক্তরাজ্যকে একটি চুক্তিতে আসতে বলেন। তাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
মন্ত্রিপরিষদের সদস্য মাইকেল স্বীকার করেছেন যে বাণিজ্য চুক্তি ছাড়াই ইইউ ছেড়ে যাওয়াটা কিছুটা অশান্তি সৃষ্টি করবে।
তবে মি. ওয়েলস বলেন, লজিস্টিক ব্যবসায়ের উপর সম্ভাব্য প্রভাব অশান্তির চেয়ে বেশি হবে।
একজন সরকারি মুখপাত্র বলেন, বছরের শেষের দিকে একক বাজার আমাদের হাতে থাকবে। কাস্টমস ইউনিয়ন ব্যবসায়ীরা যে সুযোগগুলো আমাদের এনে দেবে তা যাতে হারাতে না হয় তার জন্য পরিকল্পনা চলছে।
সূত্র: বিবিসি
২৫ অক্টোবর ২০২০
এসএফ / এনএইচ