যুক্তরাজ্যে একজন ছাত্রীর ছুরিকাহত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। ছুরিকাঘাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে, যখন তিনি তার বন্ধুকে আক্রমন হতে বাঁচাতে গিয়েছিলেন।
১৯ বছর বয়সী গ্রেস ও’ম্যালি-কুমার অবিশ্বাস্য সাহসিকতা দেখিয়েছিলেন বার্নাবী ওয়েবারকে ভালদো ক্যালোকেনের আক্রমণ হতে রক্ষা করার চেষ্টাকালে। এই তথ্যটি আদালতে মামলার শুনানি হতে জানা যায়।
মঙ্গলবার আদালতে হত্যা মামলার আবেদন গ্রহণ করা হয়।মিসেস ও’ম্যালি-কুমার মৃত্যুর আগে ক্যালোকেনের সাথে লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। তার পরিবার জানায়, তারা ও’ম্যালি-কুমারের জন্য গর্বিত।
আদালতে ডঃ সানজয় কুমার তার মেয়েকে একজন আলোকিত মানুষ হিসাবে প্রশংসা করেন যিনি পালানোর সুযোগ পেয়েও পালিয়ে যান নাই।
তিনি জানা, ” তার মেয়ে সাহসিকতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন। তার মেয়ে কখনও কোনও বন্ধুকে প্রতিকূল অবস্থায় ছেড়ে যান নাই। এটি তার প্রকৃতিতে ছিল না। ও’ম্যালি-কুমার বীরত্বপূর্ণভাবে লড়াই চালিয়ে গিয়েছিল। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে অস্ত্রের সামনে লড়ে যাওয়ার সুযোগই সে পায়নি।”
আদালতের শুনানীতে জানা যায়, নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিঃ ওয়েবার ও মিসেস ও’ম্যালি-কুমার নিজের আবাসস্থলে ফেরার পথে আক্রমণের মুখে পড়েন।
প্রসিকিউটর করিম খলিল কেসি বলেন, মিঃ ওয়েবার ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। ছিনতাইকারীদের ধাক্কায় তিনি রাস্তায় পড়ে যান। মিসেস ও’ম্যালি-কুমার তার বন্ধুকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ছুরিকাঘাতে তিনি মৃত্যুর মুখে পতিত হন।
উল্লেখ্য যে আক্রমণ সংগঠিত হবার প্রায় পাঁচ মিনিট পরে ক্যালোকেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে আক্রমণকারী সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত বলেও দাবি করা হয় বলে খবরে জানা যায়। ক্যালোকেনের আইনজীবী ব্যারিস্টার পিটার জয়েস কেসি শুনানিকালে জানান, বিবাদী ঘটনার সময় চরম মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
এম.কে
২৪ জানুয়ারি ২০২৪