ওয়েলসের ব্লাইনাউ গওয়েন্ট কাউন্টি এলাকায় ঘরে ঘরে গিয়ে বাসিন্দাদের কালো বিন ব্যাগ পরীক্ষা করছে স্থানীয় প্রশাসনের পরিদর্শক দল। পুনর্ব্যবহারযোগ্য বর্জ্য সাধারণ আবর্জনার সঙ্গে মেশালে আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে, যা সর্বোচ্চ ১০০ পাউন্ড পর্যন্ত হতে পারে।
কাউন্টি বরো কাউন্সিলের সর্বশেষ বৈঠকে জানানো হয়, এই অভিযানের আওতায় ইতোমধ্যেই জেলার প্রতিটি বাড়ি পরিদর্শন করা হয়েছে, অর্থাৎ প্রায় ৩২ হাজার পরিবারে পৌঁছেছেন কর্মকর্তারা। কাউন্সিলের ফ্রন্টলাইন এনফোর্সমেন্ট সার্ভিসের ব্যবস্থাপক অ্যান্ড্রু লং জানিয়েছেন, গত ছয় থেকে আট বছরে ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি বাড়িতে অন্তত একবার করে এই পরিদর্শন চালানো হয়েছে।
পরিদর্শন প্রক্রিয়ায় কর্মকর্তারা বাসিন্দাদের বর্জ্য সংগ্রহস্থল থেকে কালো ব্যাগ আলাদা করেন, তার ছবি তুলে রেকর্ডে রাখেন এবং সেগুলো নিয়ে যান সাইলেন্ট ভ্যালি হাউসহোল্ড ওয়েস্ট অ্যান্ড রিসাইক্লিং সেন্টারে (HWRC)। সেখানে ব্যাগগুলো খোলা হয় এবং দেখা হয়—ভিতরে কোনো পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণ ভুলক্রমে ফেলা হয়েছে কি না। প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনি নোটিশ ও ‘ফিক্সড পেনাল্টি নোটিশ’ (FPN) পাঠানো হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জরিমানা না দিলে মামলা করা হয়।
ব্রিটিশ সরকারের Environmental Protection Act 1990–এর ধারা ৪৬এ অনুযায়ী স্থানীয় প্রশাসনগুলোকে এ ধরনের জরিমানা আরোপের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তবে পরিবেশ, খাদ্য ও গ্রামীণ বিষয়ক দপ্তর (DEFRA) জানিয়েছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে এ ক্ষেত্রে “পরিমিত ও ভারসাম্যপূর্ণ” ব্যবস্থা নিতে হবে।
দপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ক্ষুদ্র ভুলের জন্য কাউকে শাস্তি দেওয়া অনুচিত। ভুলবশত কোনো কিছু ভুল বিনে ফেলা, বিনের ঢাকনা বন্ধ না করা, বা নির্ধারিত সময়ের আগে বর্জ্য বাইরে রাখা—এসব ক্ষুদ্র ত্রুটিতে জরিমানা করা যাবে না। বরং এমন ক্ষেত্রে আগেই সতর্কবার্তা বা তথ্যনোটিশ পাঠানোই উত্তম পদক্ষেপ।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে না হওয়ায় পরিবেশ দূষণ ও ল্যান্ডফিলের চাপ কমাতে এই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তবে অনেক বাসিন্দা বলছেন, “এতটা কঠোর নজরদারি সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করছে।” অপরদিকে কাউন্সিল বলছে, “এটি পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে এবং পুনর্ব্যবহার ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে একটি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ।”
সূত্রঃ দ্য এক্সপ্রেস
এম.কে

