যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে নির্বাচনে ব্যাপক পরাজয়ের ব্যাপারে। এর কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয় ট্যাক্স কমানোর নামে জনগণের পিছনে টাকা খরচের ব্যাপারে কৃচ্ছসাধন করলে মানুষ কনজারভেটিভ পার্টি হতে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে। যার প্রতিফলন ঘটবে নির্বাচনে, এমন কি নূন্যতম আসন পাওয়ারও সম্ভাবনা থাকবে না টোরি দলের বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে একটি রাজনৈতিক প্রতিবেদনে।
ট্রেজারি কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, জনসাধারণের ব্যয় সংকোচিত করা হলেই শুধুমাত্র ট্যাক্সের হার কমানো সম্ভব নতুবা এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো জায়গা বর্তমান সরকারের নেই।
সিনিয়র টোরি রাজনীতিবিদদের মতে, ভোটারদের লেবার পার্টির দিকে ঝুঁকে পড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে যদি উন্নয়ন ব্যয় বর্তমান সরকার বন্ধ করে দেয়।
প্রাক্তন টরি চেয়ারম্যান জন গুমার বলেন, “জনসাধারণ কিছু বিষয় নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন তার মাঝে অন্যতম স্বাস্থ্যখাত। চিকিৎসা সেবার জন্য এনএইচএসের নার্স প্রয়োজন রয়েছে। তাছাড়া স্বাস্থ্যসেবা খাতে বিশাল পরিবর্তনের প্রয়োজন। কনজারভেটিভরা গোঁড়ামিতে বিশ্বাস করে না। কনজারভেটিভরা নিজেদের রক্ষণশীল বলে অভিহিত করলেও তারা মোটেও তা নয়। বেশিরভাগ রক্ষণশীল সংসদ সদস্য এবং বেশিরভাগ রক্ষণশীল ভোটার – একটি মধ্যপন্থী, বুদ্ধিমান, প্রগতিশীল পার্টি চান।”
টরি মডারেটর্সদের দাবি রক্ষণশীলরা নির্বাচন জিততে এভাবে পারবে না। কারণ ইমিগ্রেশন ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের যে দুরবস্থা সেটার সংষ্কার জরুরি।
প্রাক্তন মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী জাস্টিন গ্রিনিং বলেন, নির্বাচনী বৈতরণি উৎরাতে হলে শেষ সুযোগ আসছে বাজেট। কিন্তু সেই বাজেটে যদি জনসাধারণের উন্নয়নে ঘাটতি থাকে তাহলে নির্বাচন জেতার সম্ভাবনা কমবে। ১৯৯৭ সালে একটা শ্লোগান ছিল, লেবার দলকে ব্রিটেনকে নষ্ট করতে দিবেন না। সেই বিষয়ের দিকে খেয়াল করলে দেখা যায় আমরা এখন লেবার দলের মতো অবস্থানে নিজেদের পৌঁছে দিয়েছি। একটি সংষ্কার ঝাঁকুনি ছাড়া কোনো পরিবর্তন সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য যে, আগামী মাসে বাজেটকে কেন্দ্র করে যুক্তরাজ্যের রাজনীতি ঘুরপাক খাচ্ছে। নির্বাচনকে কাজে লাগাতে বাজেটকে কিভাবে ব্যবহার করে টোরিরা সেটাই এখন দেখার বিষয় বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তবে জনগণের বিভিন্ন সহায়তা ফান্ড বন্ধ বা কড়াকড়ি করে নির্বাচনী তরী তীরে ভিড়াতে পারবেনা কনজারভেটিভ দল বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪