হাউজ অব কমন্সের কাছে সবসময়ই বরিস জনসন নিজেকে পুরোপুরিই স্বচ্ছ দাবি করে আসছেন। তবে অনিচ্ছকৃতভাবে হাউজ অব কমন্সকে বিভ্রান্তিতে ফেলার জন্য তিনি ক্ষমা প্রার্থনাও করেছেন। বেপরোয়া এবং ইচ্ছাকৃতভাবে হাউজ অব কমন্সকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা বলে উল্লেখ করেন জনসন।
যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর উপর করা অভিযোগ নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়। সংবাদমাধ্যম জানায়, বরিস জনসনের প্রধান বিজ্ঞান বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন স্যার প্যাট্রিক ভ্যালেন্স। তিনি কোভিড মহামারী নিয়ে আলোচিত তদন্ত সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে নতুন তথ্য ফাঁস করেছেন। তাছাড়া প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর প্রাইভেট সেক্রেটারি মার্টিন রেনল্ডস একটি প্রাইভেট চ্যাট গ্রুপে বরিস জনসনের উপর আনা অভিযোগের সত্যতা আছে বলে স্বীকার করেন।
করোনাকালীন সময়ে বরিস জনসনের চিফ অফ স্টাফ ছিলেন ডমিনিক কামিংস। তিনি উক্ত তদন্তের ব্যাপারে আগামী সপ্তাহে তথ্যপ্রমাণ দিতে রাজি হয়েছেন বলে জানা যায়। মিঃ জনসনের প্রাক্তন যোগাযোগ প্রধান লি কেইন দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন বিশৃঙ্খলা, সম্পূর্ণ বেমানান বিষয়ের উপর কথা বলতে রাজি হয়েছেন বলে জানায় সংবাদমাধ্যম।
উল্লেখ্য যে, তথাকথিত ‘পার্টিগেট কেলেঙ্কারিই’ মূলত প্রধানমন্ত্রী জনসনকে ডুবিয়েছে। ওই কেলেঙ্কারি নিয়ে কয়েক মাসের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, তিনি ও তার সরকারের জ্যেষ্ঠ সদস্যরা ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ডাউনিং স্ট্রিটে মদের পার্টি করেছেন। যেখানে ওই সময়ে বাকি যুক্তরাজ্যের জনসাধারণকে ঘরের ভেতর অবস্থান করতে বাধ্য করা হয়েছিল।
এম.কে
৩১ অক্টোবর ২০২৩