যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা বিভাগ বাজেট ঘাটতিতে পড়েছে। সামরিক সরঞ্জাম কিনতে বাজেটে ঘাটতি পড়েছে ১৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ড বা ২১ দশমিক চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা দেশটির প্রতিরক্ষা বাজেটে ঘাটতির রেকর্ড। মূল্যস্ফীতি ও সরকারি কৌশল পরিবর্তনের কারণে এ ঘাটতি হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি ব্যয়ের নজরদারি সংস্থা। আজ সোমবার ৪ ডিসেম্বর এএফপির খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল অডিট অফিস (এনএও) নিজেদের বার্ষিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২৩ থেকে ২০৩৩ পর্যন্ত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার জন্য যে বাজেট পরিকল্পনা করা হয়েছিল তা বর্তমানে অসম্ভব। বিষয়টি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (এমওডি) স্বীকার করেছে।
তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সরঞ্জাম কেনার জন্য ১৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ডের যে বাজেট রাখা হয়েছিল তা দেশটির জন্য পর্যাপ্ত নয়।
২০১২ সাল থেকে এনএও নিজেদের বার্ষিক বাজেটের প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। সেই থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বাজেট ঘাটতি এবারই দেখা গিয়েছে। চলতি বছরে প্রতিরক্ষা বিভাগের আনুমানিক খরচ ছিল ৩০৫ দশমিক পাঁচ বিলিয়ন পাউন্ড, যেখানে তাদের বাজেট ছিল ২৮৮ দশমিক ছয় বিলিয়ন পাউন্ড।
নজরদারি সংস্থাটি বলছে, পরিকল্পনা পরিবর্তনই বাজেট ঘাটতির অন্যতম কারণ। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতিও অন্যতম একটি কারণ। গত বছরের হিসেবে ক্রমবর্ধমান পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি প্রতিফলিত হয়নি। আর অগ্রাধিকারভিত্তিক খাতগুলোতেও ব্যয় ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এনএও বলছে, সরকার তার প্রতিরক্ষা এবং বৈদেশিক নীতিতে যে পরিবর্তন এনেছে তা নিয়েই কাজ করছে এমওডি।
দেশটির কমন্স পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির সভানেত্রী মিগ হিলিয়ার বলেন, ‘ঘাটতিতে সৃষ্ট ঝুঁকিতে আমি উদ্বিগ্ন। সামরিক সরঞ্জাম কেনায় সরকার যে চিন্তা করছে তার সঙ্গে বাস্তবতার অনেক গ্যাপ রয়েছে।’
এম.কে
০৪ ডিসেম্বর ২০২৩