যুক্তরাজ্যের বর্তমান সরকার ইংলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ করতে যাচ্ছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাকস্বাধীনতা রক্ষার জন্য কনজারভেটিভদের দ্বারা প্রবর্তিত আইন নাটকীয়ভাবে বন্ধ করে দেয়ার পথ প্রসস্থ করতে যাচ্ছে বর্তমান সরকার বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বাকস্বাধীনতা বন্ধে আইন কার্যকর হওয়ার মাত্র কয়েকদিন আগে, শিক্ষা সচিব জানিয়েছিলেন, তিনি “বাকস্বাধীনতা আইন ২০২৩ এর বাতিলকরণ সহ বিকল্পগুলি বিবেচনা করার জন্য কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন।”
ব্রিজেট ফিলিপসন ইংল্যান্ডের উচ্চশিক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাজের ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন। শিক্ষা খাতের আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য এবং আর্থিক সঙ্কটের মুখে লড়াই করার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার কথাও জানান।
ফিলিপসন বলেন আইনটি বন্ধ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে উপযুক্ত পরিবেশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে এবং অবজ্ঞার সাথে আচরণ করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল সমস্যা চিহ্নিত না করে বরং জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন সরকার বাকস্বাধীনতা এবং একাডেমিক স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আইনটি শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ঘৃণিত বক্তৃতা প্রদানে বাঁধা প্রদান করে না। এ কারণেই আমি এই আইনটি দ্রুত বন্ধ করার আদেশ দিয়েছি যাতে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ সঠিকভাবে নিতে পারি যাতে প্রত্যেকের সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষা করা সম্ভব হয়।
ফিলিপসনের এই আইন নিয়ে মতামত প্রকাশের বিরুদ্ধে প্রাক্তন স্কুলমন্ত্রী ড্যামিয়ান হিন্ডস নাখোশ হয়েছেন।
বর্তমানে ছায়া শিক্ষা সচিব বলেন, মুক্ত বক্তৃতা একটি মৌলিক অধিকার, এবং এটি অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়
গুলিতে প্রসারিত হতে হবে। উচ্চ শিক্ষায় নির্দ্বিধায় মতামত প্রকাশ করার ক্ষমতা থাকা উচিত। তা নাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অসহিষ্ণুতার কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।
উল্লেখ্য যে, ব্রিটিশ ইহুদিদের ডেপুটিস বোর্ড কর্তৃক সরকারের এই পদক্ষেপটিকে স্বাগত জানানো হয়েছে। ইহুদি শিক্ষার্থীদের ইউনিয়ন এই আইনটিকে এন্টিসেমিটিক উগ্রপন্থীদের বন্ধ করার জন্য বাতিল করা জরুরি বলেও মত প্রদান করে।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
২৮ জুলাই ২০২৪