TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

যুক্তরাজ্যের ব্রাইটনে এয়ারবিএনবি রেন্টালের বিরুদ্ধে কঠোর বিধিনিষেধের পথে কাউন্সিল

ব্রাইটন ও হোভ সিটি কাউন্সিল শর্ট-টার্ম হলিডে রেন্টালের উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শহরের আবাসন সংকট ও অবকাঠামোগত চাপে এসব রেন্টালের ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি উঠেছে।

কাউন্সিলের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, শহরে প্রায় ৬,০০০টি বসতবাড়ি হলিডে লেট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, অথচ মাত্র ৪০০টি ব্যবসা হিসেবে নিবন্ধিত। বাকি মালিকরা কর, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বা আইনগত বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ।

নতুন পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে নতুন নির্মিত বা রূপান্তরিত বাড়িগুলোকে শর্ট-টার্ম হলিডে লেট হিসেবে ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে। এ ছাড়া শহরের কিছু এলাকাকে হলিডে লেটের জন্য অনুমোদিত বা নিষিদ্ধ জোন হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাবও রয়েছে।

কাউন্সিল নেত্রী বেলা স্যাঙ্কি বলেন, “আমাদের স্থানীয় পরিস্থিতি বুঝে সরকারকে আরও ক্ষমতা প্রদানে চাপ দিতে হবে।” তিনি আরও বলেন, এই খাতের সঙ্গে একযোগে কাজ করাই হবে বাস্তব সমাধানের পথ।

কাউন্সিলর আমান্ডা ইভানস বলেন, অনেক মালিক বুঝতেই পারছেন না যে তারা আইনের বাইরে রয়েছেন। তিনি জানান, এদের অধিকাংশই ব্যবসা হিসেবে নিবন্ধিত নন এবং আইনগতভাবে কোনোরূপ ব্যবসায়িক দায় মানছেন না।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ইংল্যান্ডজুড়ে ১৩.৩ মিলিয়ন মানুষ আবাসন অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছেন, যা গত দশকে সর্বোচ্চ। ব্রাইটন ও হোভ শহরে ২০৪০ সালের মধ্যে প্রায় ৪০,০০০ নতুন ঘরের প্রয়োজন হবে বলে এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে।

‘সিটি প্ল্যান’-এর আওতায় কাউন্সিল হলিডে লেট নিয়ন্ত্রণে আইনগত সীমা নির্ধারণ করতে চায়। এর মধ্যে নির্দিষ্ট এলাকায় এই ধরনের রেন্টাল নিষিদ্ধ করা বা নতুন বাড়িকে শর্ট-টার্ম ভাড়ার জন্য রূপান্তর প্রতিরোধের প্রস্তাবও রয়েছে।

আগামী জুলাই মাসে হাউস অব কমন্সে একটি বিল উত্থাপন হতে যাচ্ছে, যেখানে শর্ট-টার্ম হলিডে লেটের লাইসেন্সিং ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক আইন নিয়ে আলোচনা হবে। এই বিল পাস হলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুলোর হাতে নতুন নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা আসতে পারে।

সূত্রঃ দ্য এক্সপ্রেস

এম.কে
২৮ জুন ২০২৫

আরো পড়ুন

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যসেবায় বিপর্যয়ঃ অস্ত্রোপচারের পর ভাঙা ছুরি রোগীর শরীরে

২০২৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা পাবে বাংলাদেশঃ সারাহ কুক

শামীমা বেগমের সাক্ষাৎকার নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় তীব্র সমালোচনা