যুক্তরাজ্যের ভিসা সেবা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান Ecctis তাদের প্রাক্তন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্লাউড বাই-ইউনের বিরুদ্ধে £৬ মিলিয়ন পাউন্ড পাওনার দাবি করে মামলা করেছে। অভিযোগ, তিনি সরকারের সঙ্গে অলাভজনক চুক্তি থেকে অর্জিত লাভের অর্থ ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করেছেন।
আদালতের নথি অনুযায়ী, বাই-ইউন ২০১৬ ও ২০১৭ সালে প্রায় সম্পূর্ণ নিট লাভ থেকে যথাক্রমে £২.১৬ মিলিয়ন ও £২.৫ মিলিয়ন লভ্যাংশ অনুমোদন দেন একটি হোল্ডিং কোম্পানিকে, যার একমাত্র শেয়ারহোল্ডার ছিলেন তিনি নিজেই। পরবর্তীতে এই অর্থ ২০২১ সালে £১৭.৫৮৭ মিলিয়ন মূল্যে তার শেয়ার বিক্রির অর্থায়নে ব্যবহার হয়। শেয়ারগুলো পরে একটি কর্মী-মালিকানাধীন ট্রাস্টে হস্তান্তরিত হয়।
DfE-এর (শিক্ষা বিভাগ) সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী Ecctis-এর বাধ্যবাধকতা ছিল সমস্ত লাভ পুনঃবিনিয়োগ করা বা নিট লাভের অর্ধেক পর্যন্ত সংরক্ষণে রাখা। কিন্তু অডিটে দেখা যায়, ২০২১ সাল পর্যন্ত £১৬.৬৩ মিলিয়ন লভ্যাংশ প্রদান করা হয়েছে, যা চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ। এর ফলে Ecctis সরকারকে £১৩.৬৪ মিলিয়ন ফেরত দিতে বাধ্য হয়।
Ecctis অভিযোগ করেছে, বাই-ইউন পরিচালক হিসেবে কোম্পানির স্বার্থ রক্ষা ও স্বার্থসংঘাত এড়ানোর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। অন্যদিকে বাই-ইউন অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, সংবিধি অনুযায়ী লভ্যাংশ প্রদানে কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না এবং শেয়ারহোল্ডার হিসেবে তিনি এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী ছিলেন।
এই মামলার কারণে শিক্ষা বিভাগ অস্বস্তিতে পড়েছে, কারণ চলতি বছরই Ecctis-এর চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে নতুন শর্তে, যাতে সমস্ত লাভ সরাসরি সরকারের কাছে জমা হয়। insiders-এর দাবি, Ecctis এখনও একচেটিয়া সেবা দিচ্ছে, যা সরাসরি সরকারের অধীনে পরিচালনা করা হলে আরও স্বচ্ছ হতো।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
১৪ আগস্ট ২০২৫