যুক্তরাজ্যের বড় বড় বিমানবন্দরগুলোতে এখন মুসলিম যাত্রীদের জন্য নামাজের আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। হিথরো, গ্যাটউইক, ম্যানচেস্টার, বার্মিংহাম, স্ট্যানস্টেডসহ বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরে রয়েছে মাল্টি-ফেইথ রুম ও অজুর ব্যবস্থা।
লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরের সব টার্মিনালেই ২৪ ঘণ্টা খোলা মাল্টি-ফেইথ রুম রয়েছে। টার্মিনাল ৫–এ কিবলার দিক নির্দেশনা ও জায়নামাজসহ পূর্ণাঙ্গ নামাজঘর রয়েছে।
গ্যাটউইক বিমানবন্দরের দক্ষিণ ও উত্তর টার্মিনালেও নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। দক্ষিণ টার্মিনালের নামাজঘরটি পরিষ্কার ও পরিবেশ উপযোগী হওয়ায় যাত্রীরা সন্তুষ্ট।
ম্যানচেস্টার বিমানবন্দরের টার্মিনাল ১ ও ২–তে রয়েছে আলাদা নামাজের কক্ষ। ২০২৪ সালে টার্মিনাল ২–এ নতুনভাবে চালু হওয়া নামাজঘরে নারীদের জন্য পৃথক অজুর স্থান রাখা হয়েছে।
বার্মিংহাম বিমানবন্দরে মাল্টি-ফেইথ রুমে রয়েছে অজু ও নামাজের সুব্যবস্থা। যাত্রীদের বসার জায়গার কাছেই এই কক্ষ অবস্থিত।
স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরের মূল টার্মিনালেও ছোট একটি নামাজের রুম রয়েছে। তবে ভিড়ের সময় এখানে জায়গা পাওয়া কঠিন।
লুটন ও ব্রিস্টলের মতো ছোট বিমানবন্দরে নির্দিষ্ট নামাজঘর না থাকলেও মুসলিম যাত্রীরা পার্কিং লট বা নিরিবিলি স্থানে নামাজ আদায় করেন।
শুধু বিমানবন্দর নয়, ট্রেন স্টেশন, বিশ্ববিদ্যালয়, শপিং মল, হাসপাতাল ও অফিসগুলোতেও ধীরে ধীরে নামাজের জায়গা বাড়ানো হচ্ছে।
লন্ডন কিংস ক্রস ও বার্মিংহাম নিউ স্ট্রিট স্টেশনে রয়েছে মাল্টি-ফেইথ রুম ও অজুর ব্যবস্থা।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও মুসলিম শিক্ষার্থীদের চাহিদার ভিত্তিতে নামাজের ব্যবস্থা অগ্রাধিকার পাচ্ছে। ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানচেস্টারে রয়েছে ইসলামী সোসাইটির পরিচালনায় মসজিদ।
ওয়েস্টফিল্ড লন্ডন ও ম্যানচেস্টারের ট্র্যাফোর্ড সেন্টারেও মাল্টি-ফেইথ রুম রয়েছে, যেখানে অজুর ব্যবস্থাও রয়েছে।
এনএইচএস হাসপাতাল ও কর্পোরেট অফিসগুলোকেও মাল্টি-ফেইথ রুম যুক্ত করতে দেখা যাচ্ছে।
তবে ২০২৪ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, ৬৫% মুসলমান নামাজঘরের পরিচ্ছন্নতা ও দিকনির্দেশনার মান উন্নত করার দাবি জানিয়েছেন।
নারীদের জন্য পৃথক অজুর স্থানের অভাব এবং গ্রামীণ এলাকায় নির্দিষ্ট নামাজঘরের অনুপস্থিতি এখনো বড় চ্যালেঞ্জ।
মুসলিম কাউন্সিল অফ ব্রিটেন (MCB) এসব সমস্যার সমাধানে নিয়মিত কাজ করছে এবং বিভিন্ন ভেন্যুর সঙ্গে সমন্বয় করছে।
সূত্রঃ হালাল টাইমস
এম.কে
০১ জুলাই ২০২৫