যুক্তরাজ্যের হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকালে বিক্ষোভকারীদের অপরাধী হিসাবে আটক করতে পুলিশকে বেআইনীভাবে ব্যবহার করেছিলেন।
সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান তার ক্ষমতার বাইরে গিয়ে কাজ করার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে জানায় আদালত। তাছাড়া তিনি সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথেও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন নাই বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। আইনের বিধি সঠিকভাবে প্রয়োগেও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব।
আদালত জানায়, সরকার সাধারণ প্রতিবাদকে যখন ভিন্ন সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করে তখন কয়েকশ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে বাঁধাগ্রস্ত করার প্রক্রিয়ায় পুলিশি রাষ্ট্রের মতো আচরণে সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন।
দাতব্য সংস্থা লিবার্টির পরিচালক আকিকো হার্ট বলেছেন, “ এই রায়টি গণতন্ত্রের জন্য একটি বিশাল বিজয় এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ রায়। সরকার যতই ক্ষমতাধর হোক তারা আইনের বাইরে পা রাখতে পারে না এই রায়ের মাধ্যমে তা আবার প্রমাণিত হয়েছে।”
হোম অফিস জানিয়েছে তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করবে। এছাড়া আর কোনো মন্তব্য করতে হোম অফিস অপারগতা প্রকাশ করে।
উল্লেখ্য যে, গত বছর স্বরাষ্ট্রসচিব সুয়েলা ব্রেভারম্যান পদত্যাগ করার আগে তথাকথিত বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করেছিলেন বিক্ষোভকারীদের দমন করতে। যা নানা ধরনের সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল এবং প্রশ্নের মুখে ফেলেছিল যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ সরকারকে।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
২৬ মে ২০২৪