স্বরাষ্ট্রসচিব সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান তুরস্কে নির্বাসনে থাকা একজনকে তার ব্রিটিশ ছেলের সাথে যুক্তরাজ্যে পুনরায় একত্রিত হতে বাঁধা দিয়েছেন বলে খবরে জানা যায়।
চেস্টারের সিয়াবঙ্গা টোয়ালা ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে আঙ্কারায় লিম্বোতে অবস্থান করছেন কারণ গত ডিসেম্বরে তাকে ম্যানচেস্টারে ফিরতে বাঁধা দেওয়া হয়।
সিয়াবঙ্গা হোম অফিসে চিঠি লিখেছিলেন যুক্তরাজ্যে ফিরে আসার অনুমতি চেয়ে। কিন্তু ব্র্যাভারম্যান পাঁচ বছর আগে গাঁজা জাতীয় নেশাদ্রব্যের সাথে সম্পৃক্ততার কারণে সিয়াবঙ্গা টোয়ালাকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করেন। টোয়ালার আইনজীবী জানান ব্র্যাভারম্যানের হস্তক্ষেপ একটি খারাপ নজির সৃষ্টি করলো।
৩০ ডিসেম্বর ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে ইংল্যান্ডে যাওয়ার একটি ফ্লাইটে সিয়াবঙ্গা টোয়ালাকে বোর্ডিং করতে বাঁধা দেওয়া হয়। তার সাথে তার নয় বছরের ছেলে ম্যাসন সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ছিল। তারা সবাই পারিবারিক ছুটি কাটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যুক্তরাজ্যে ফিরে যাচ্ছিলো বলে এক খবরে জানা যায়।
৩৪ বছর বয়সী টোয়ালা তার পরিবারের সাথে ১৫ বছর বয়স থাকাকালীন সময়ে ডার্বান থেকে যুক্তরাজ্যের চেস্টার স্থানান্তরিত হয়েছিলেন।
টোয়ালা ব্রিটেনেই বেড়ে উঠেন যদিও তিনি যুক্তরাজ্যে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেননি। নেশা জাতীয় দ্রব্য সরবরাহের অভিযোগে ২০১৮ সালে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণে তার ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাসটি এখন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে আসে।
১৪ ই জুলাই প্রেরণ করা টোয়ালার আইনজীবীর কাছে হোম অফিসের একটি চিঠিতে বলা হয়, ” স্বরাষ্ট্রসচিব মনে করেন এই ধরনের অপরাধীকে যুক্তরাজ্য ধারণ করতে চায় না। তাই যুক্তরাজ্যে প্রবেশে অপরাধীকে বাঁধা দেয়া জনসাধারণের কল্যাণের পক্ষে উপযুক্ত।”
উইন্ডরুশ ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষে প্রচারণা চালানো লেবার এমপি ডায়ান অ্যাবট বলেন, স্বরাষ্ট্রসচিবের এই ধরণের অমানবিক আদেশ প্রদান করা খুবই মর্মস্পর্শী। একজন ব্যক্তিকে আপিলের অধিকার না দিয়ে দেশ থেকে বের করে দেয়া কখনও শুভকর নয়। অপরাধীদের উপরে ব্যবস্থা নেয়ার মানে এই নয় যে তাকে মানবাধিকার প্রদান না করা। কনজারভেটিভ সরকার নির্বাচনে জয় লাভের জন্য হুজুগে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে যা জাতি হিসেবে আমাদের করছে লজ্জিত।
টোয়ালার আইনজীবী ডানকান লুইস সলিসিটরের নিকোলাস হিউজেস বলেন, ব্র্যাভারম্যানের এই হস্তক্ষেপ লজ্জার। একজন পুত্র তার বাবাকে ছাড়া তার গত জন্মদিন পালন করেছে। সে তার বাবাকে ছাড়া অসহায়বোধ করছে বলে জানায়। তাই আমরা আশা করতে পারি সুয়েলা ব্রেভারম্যান আরো একবার এই বিষয়ে ভাববেন।
এই বিষয়ে হোম অফিসের এক মুখপাত্রের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ” আমরা একটি নির্দিষ্ট মামলা নিয়ে মন্তব্য করতে অপারগ।”
এম.কে
২৩ জুলাই ২০২৩