26.8 C
London
June 17, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

যুক্তরাজ্যের হাডার্সফিল্ডে হোম অফিসের লিজ নেওয়া ভবন খালি, শরণার্থীদের স্থানান্তর অনিশ্চিত

যুক্তরাজ্যের হাডার্সফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ২০১৯ সালে নির্মিত স্টুডেন্ট ব্লকগুলো এক বছর ধরে খালি পড়ে আছে। হোম অফিস ২০২৪ সালের শেষের দিকে প্রায় ৭ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ে ভবনগুলো লিজে নিলেও এখনও পর্যন্ত সেখানে কোনো শরণার্থীকে রাখা হয়নি।

এই ভবনগুলোতে রয়েছে স্টুডিও বেডরুম, ডাইনিং রুম, রান্নাঘর এবং জিম। এগুলো ব্যবহার করে হোটেলের ব্যয় কমানোর পরিকল্পনা ছিল হোম অফিসের।

বর্তমানে ৩২,০০০ এর বেশি শরণার্থী হোটেলে বসবাস করছে। বার্ষিক আশ্রয় ও সহায়তা ব্যয় পৌঁছেছে ৩.৬ বিলিয়ন পাউন্ডে।

হাডার্সফিল্ড ভবনগুলোর ভবিষ্যৎ ব্যবহারের বিষয়ে হোম অফিস ও স্থানীয় কাউন্সিলের মধ্যে আলোচনা চলমান, তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সিদ্ধান্ত আসতে “কয়েক মাস” লেগে যাবে।

লেবার সরকার হোটেলের বিকল্প হিসেবে পুরনো টাওয়ার ব্লক, সাবেক ছাত্রাবাস ও ফাঁকা কলেজ ভবন ব্যবহারের নতুন মডেল চালু করছে। ভবনগুলো কাউন্সিলের মালিকানায় অথবা সরকারের লিজে থাকবে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ব্যবহার করবে।

হাডার্সফিল্ডের এই ভবনগুলো চারটি বড় সাইটের একটি, যেগুলো টোরি সরকার চিহ্নিত করেছিল। অন্যগুলো হলো পোর্টল্যান্ডের বিবি বার্জ, স্ক্যাম্পটনের সাবেক RAF ঘাঁটি ও ওয়েদারসফিল্ড।

লেবার সরকার ক্ষমতায় এসে বিবি বার্জ বন্ধ করে এবং স্ক্যাম্পটন ফিরিয়ে দেয় স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে। তবে ওয়েদারসফিল্ডে এখনও শরণার্থীদের রাখা হচ্ছে।

এই সাইটে ভবিষ্যতের জন্য ২০৩৪ সাল পর্যন্ত ব্যবহারের পরিকল্পনায় হোম অফিসের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় £৩৫৮ মিলিয়ন, যার মধ্যে শুধু চলতি অর্থবছরেই £৭.১ মিলিয়ন খরচ হয়েছে লিজ ও প্রস্তুতির জন্য।

২০১৯ সালে নির্মাণের পর ভবনগুলো গ্রেনফেল ট্র্যাজেডির প্রেক্ষিতে অগ্নিসুরক্ষা ত্রুটির কারণে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে £১২ মিলিয়ন ব্যয়ে সংস্কার শেষে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়। কিন্তু হোম অফিস তা লিজ নিয়ে নেয় শরণার্থীদের জন্য ব্যবহার করতে।

তৎকালীন সময়ে অভিযোগ উঠেছিল, শিক্ষার্থীদের জোর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। তবে হোম অফিস বলেছিল, তারা জড়িত হওয়ার আগেই শিক্ষার্থীদের অন্যত্র যাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে হোটেলে থাকা শরণার্থীর সংখ্যা ছিল ৫৬,০৪২, যা সরকারের দৈনিক খরচ বাড়িয়ে দেয় ৮ মিলিয়ন পাউন্ডে। এরপর টোরি সরকার হাডার্সফিল্ডে স্থানান্তরের ঘোষণা দিলেও নির্বাচনে পরাজিত হয়।

লেবার সরকার বলছে, তারা একটি টেকসই, খরচ-সাশ্রয়ী আশ্রয়ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করছে এবং হোটেল নির্ভরতা কমাতে স্থানীয় অংশীদারিত্বের মডেল চালু করেছে।

হোম অফিস জানায়, তারা একটি চরম চাপে থাকা ব্যবস্থা পেয়েছে এবং ইতোমধ্যে অর্ধ বিলিয়ন পাউন্ড সাশ্রয়ের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তারা বলছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ করে তারা একটি ন্যায্য ও কার্যকরী ব্যবস্থার পথে অগ্রসর হচ্ছে।

সূত্রঃ দ্য টেলিগ্রাফ

এম.কে
১৭ জুন ২০২৫

আরো পড়ুন

যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো তীব্র গরমের সতর্কতা জারি

অনলাইন ডেস্ক

নিক ক্লেগকে গোপন তথ্য সরবরাহ করছেন সরকারি কর্মকর্তা!

ব্রিটিশ এয়ার ফোর্সের বিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট নিহত