7.6 C
London
December 26, 2024
TV3 BANGLA
বাকি বিশ্ব

যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখ ডলারে লবিস্ট নিয়োগ দিলেন জয়

যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখ ডলারের বিনিময়ে লবিস্ট নিয়োগ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। ওই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে তার ৬ মাসের চুক্তি হয়েছে। বিনিময়ে পরিশোধ করতে হচ্ছে দুই লাখ ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় ২ কোটি ৩৯ লাখ ৯ হাজার ৩৮০ টাকা। এ খবর দিয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম।
এ বিষয়ে স্ট্রেক গ্লোবাল ডিপ্লোম্যাসির চেয়ারম্যান রবার্ট স্ট্রেকের সঙ্গে চুক্তি সই করেছেন ওয়াজেদ ইনকরপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব ওয়াজেদ। লবিস্ট ফার্মটির নেতৃত্বে আছেন ক্রিশ্চিয়ান বোরগে এবং রবার্ট স্ট্রিক। এতে আওয়ামী লীগের পক্ষে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাহী ও বিচার বিভাগের কাছে তুলে ধরবে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটির ওই দু’জন কর্তাব্যক্তি ২০১৬ সালে নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্পের উপদেষ্টা ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়মের ইতিহাস অনুসরণ করে এসজিডিকে ভাড়া করেছেন জয়। আওয়ামী লীগের পক্ষে লবিং করার জন্য ২০০৫ সালে অ্যালকালডে অ্যান্ড ফে- নামের প্রতিষ্ঠানকে তিনি ৭ লাখ ২০ হাজার ডলার পরিশোধ করেছেন। ওই সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক গতিবিধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রিপাবলিকান গ্যারি আকারম্যান। তিনি পরিস্থিতিকে জেনারেল পারভেজ মোশারফের অধীনে পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। সতর্ক করেছিলেন যে, মূলধারার দলগুলো দুর্বল হলে তাতে ইসলামপন্থি শক্তি শক্তিধর হয়ে উঠতে পারে। এবার তার মায়ের ক্ষমতা হারানোর পর আওয়ামী লীগের মুখপাত্র হয়ে উঠেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। এ সময়ে দলটির বেশির ভাগ নেতা আত্মগোপন করেছেন অথবা জেলে রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নানা ইস্যুতে লবিস্ট নিয়োগের আলোচনায় প্রায়ই সরগরম হয় রাজনৈতিক ময়দান। টানা দেড় দশক ধরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতার অভিযোগ ছিল বাংলাদেশের রাজনীতিতে মার্কিন প্রভাব বিস্তারে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত।
৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। পলাতক-গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। পরিস্থিতি উত্তরণে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করেছেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। স্ট্রেক গ্লোবাল ডিপ্লোম্যাসির সঙ্গে করা তার এই চুক্তি মার্কিন বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
ফাইল ঘেঁটে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের পক্ষে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি মার্কিন নীতি নির্ধারকদের কাছে তুলে ধরবে লবিস্ট ফার্ম। যেখানে খরচ হবে দুই লাখ ডলার। গেল ১২ সেপ্টেম্বর ৬ মাসের জন্য এই চুক্তি হয়।
২০০৪ সালে ‘অ্যালকাটেল অ্যান্ড ফা’ নামের এক লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে প্রথম চুক্তি করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। যেখানে বলা হয়েছিল জঙ্গিবাদের প্রসারে কাজ করছে বিএনপি। ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগ তা দমন করবে। আর ২০১৯ সালে ব্লুস্টার স্ট্যাটেজিস-সহ একাধিক লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করে বিএনপি। তাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় গণতন্ত্র হত্যা করছে আওয়ামী লীগ।
চায়ের বাজার থেকে তৈরি পোশাক বা যেকোনো পণ্যের বাজার ধরতে যুক্তরাষ্ট্রে অন্যতম মাধ্যম লবিস্ট ফার্ম। দেশটির বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ ইস্যুতে অন্তত ৩৭৬টি লবিস্ট ফাইলের সন্ধান মিলেছে।
এদিকে দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিবৃতি দিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে আওয়ামী লীগ ও দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা যে কোনো পরিস্থিতিতে দেশবাসীর পাশে আছেন। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে এ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেন্ট মার্টিনের প্রতি ইঙ্গিত করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মাটিতে অন্য কোনো দেশের পতাকা উড়তে দেয়া হবে না। প্রয়োজনে আরেকটি যুদ্ধ হবে, স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধ।
এম.কে
০৪ অক্টোবর ২০২৪

আরো পড়ুন

ভিসা কড়াকড়িঃ বাংলাদেশিদের অভাবে কলকাতার ব্যবসায়ীদের হাহাকার

তিরুপতির লাড্ডুতে ব্যবহৃত হতো গরু ও শুকরের চর্বি, মামলা দায়ের শীর্ষ আদালতে

ম্যারাডোনার দেহাবশেষ সরিয়ে নিতে সন্তানদের আবেদন