ছবির মত সুন্দর ওশেনিয়ার একটি দেশ পালাউ। এটি পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম একটি দেশ। যার সরকারি নাম রিপাবলিক অফ পালাউ। এটি একটি স্বাধীন দেশ যা পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত। পালাউ এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে হাজারো পর্যটক প্রতিবছর পালাউ যান।
স্বতন্ত্র সংস্কৃতির কারণে বিশ্ব জুড়ে ভ্রমণ প্রিয় মানুষের কাছে পছন্দের একটি জায়গা পালাউ। এই দ্বীপ দেশটি ছোট বড় ৩৪০ টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। আটটি প্রধান দ্বীপ এবং ২৫০ টারও অধিক ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত পালাউ।
পালাউ এর উপকূলে প্রায় ১৩০ প্রজাতির হাঙর পাওয়া যায়। একটি বিশেষ হৃদ রয়েছে যেখানে লাখ লাখ জেলিফিস ভেসে বেড়ায়। এই সমস্ত সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণে পালাউ বিশেষ সচেতনতা অবলম্বন করে।
দেশটি অর্থনৈতিকভাবে বেশ সমৃদ্ধ। এর আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে পর্যটন শিল্প। এছাড়াও কৃষিকাজ এবং মাছ ধরেও জীাবকা নির্বাহ করেন পালাউ এর বাসিন্দারা।
১৫০০ সাল নাগাদ স্পেনীয় সাম্রাজ্য পালাউ দখল করে স্পেনীয় ইস্ট ইন্ডিজের অংশ হিসেবে শাসন করতে থাকে। এর পূর্বে স্থানীয় আদিবাসীদের দ্বারা পালাউ শাসিত হতো। ১৮৯৯ সালে স্পেন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধের সময় জার্মান পালাও দখল করে নেয় এবং জার্মান নিউগিনির অংশ হিসেবে শাসন করতে থাকে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান পালাউ সাম্রাজ্য দখল করে নেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পণের পর পালাউ প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জের জাতিসংঘ ট্রাস্ট এলাকার অন্তর্ভুক্ত হয়। এরপর পালাউ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শাসনে আসে। ১৯৯৪ সালের অক্টোবর মাসে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
পালাউ এর আয়তন ৪৫৯ বর্গ কিলোমিটার জনসংখ্যা হচ্ছে ২৪০০০। এটি পৃথিবীর দশম ক্ষুদ্রতম দেশ।পালাউ এর সরকারি ভাষা হল পালাউন এবং ইংরেজি।
পালাউ এর কিছু মানুষ এখনো জাপানিজ ভাষায় কথা বলে থাকেন। এখানে কোন রাষ্ট্রধর্ম নেই তবে খ্রিস্টধর্মই প্রধান ধর্ম। রাজধানীর এনগেরুলমুদ। পালাউ এর সাক্ষরতার ৯৭%। এর জনপ্রিয় খেলা বেজবল।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পালাউ এর মোট ২৪,০০০ জনগোষ্ঠীর মধ্যে দুই হাজার জনগোষ্ঠীই বাংলাদেশী!
এম.কে
২০ জানুয়ারি ২০২৫