নরওয়ের সমুদ্র সৈকত থেকে বিশাল এক তিমির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, রাশিয়া সম্ভবত এই তিমিকে ‘গুপ্তচর’ হিসেবে ব্যবহার করেছিল। কিন্তু তার মৃত্যু ঘিরে রহস্যের জাল এখনো উন্মোচিত হয়নি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, হলদিমির নামের এই তিমি ১৪ ফুট লম্বা এবং এর ওজন ২ হাজার ৭০০ পাউন্ড। বিশালাকৃতির এই তিমি প্রথম প্রকাশ্যে এসেছিল ২০১৯ সালে।
তিমিটির গলায় বেল্টের মতো কিছু বাঁধা ছিল এবং সেই বেল্টে সেন্ট পিটার্সবার্গের একটি যন্ত্র ছিল। এসব দেখে অনেকেই সন্দেহ করছেন, রাশিয়া হয়তো তিমিটিকে সমুদ্রপথে গুপ্তচরবৃত্তির কাজে লাগিয়েছিল।
রাশিয়া এ ব্যাপারে এখনো কোনো মন্তব্য না করায় রহস্য আরও ঘনিভূত হয়েছে। এটি গুপ্তচর তিমি নাকি সাধারণ হতভাগ্য তিমি, তা নিয়ে জল্পনা চলছে।
নরওয়ের ‘হল’ এবং রাশিয়ার ‘ভ্লাদিমির’—এই দুই শব্দ এক সঙ্গে করে তিমিটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘হলদিমির’। এটি একটি বেলুগা প্রজাতির তিমি। এ ধরনের তিমি সুমেরু অঞ্চলের সমুদ্রেই দেখা যায়। কিন্তু হলদিমির কী করে মানুষের কাছাকাছি এল, তা এক রহস্য।
নরওয়ের মেরিন মাইন্ডের প্রতিষ্ঠাতা সেবাস্তিয়ান স্ট্যান্ড নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ‘হলদিমিরের মৃত্যু হৃদয়বিদারক। সে নরওয়েরর হাজার হাজার মানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছে।’
গত বছর ওসলোর একটি ফিয়র্ডে দেখা যায় হলদিমিরকে। নরওয়ের প্রশাসন তখন তিমিটির কাছাকাছি যেতে নাগরিকদের নিষেধ করেছিল।
হঠাৎ কীভাবে মৃত্যু হলো হলদিমিরের, তা এখনো স্পষ্ট নয়। রাশিয়ার ‘গুপ্তচর’ পরিচিতি পাওয়া এই তিমি নিয়ে আগে থেকেই আলোচনা ছিল তুঙ্গে। হঠাৎ তার রহস্যজনক মৃত্যু আলোচনাকে আরও উসকে দিয়েছে।
সূত্রঃ নিউইয়র্ক টাইমস
এম.কে
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪