রাজধানীর ঢাকাসহ পুরো বাংলাদেশের রাস্তায় কোথাও নেই ট্রাফিক পুলিশ। কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে পুলিশের মাঝে। তাই রৌদ্রে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেছেন শিক্ষার্থীরা। শুধু ট্রাফিক সামলানো না, বাজার মনিটরিংও করছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুর ৩টায় রাজধানীর কারওয়ানবাজারে আসেন এক দল শিক্ষার্থী। এ সময় তারা তারা ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। মূল্য তালিকা ও দ্রব্যের দামের পাশাপাশি চাঁদাবাজি নিয়েও কথা বলেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, আমারা জেনেছি যে এখানে চাঁদাবাজি হচ্ছে। আমরা এখানে এসেছি যেন বাংলাদেশে কোথাও কোনো চাঁদাবাজি না হয়। আমরা এটা বন্ধ করবো। আর দ্রব্যমূলের দাম কতটুকু বেড়েছে বা কমেছে সেটা দেখার জন্য।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, আমরা জেনেছি কারওয়ানবাজারে ছিনতাই ও মাদকাসক্তদের আনাগোনা বেড়েছে। এছাড়াও যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং হচ্ছে যা মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। সেগুলো দেখতে এসেছি। জনগণের ভালো থাকার জন্য যা করার দরকার তাই করবো।
শিক্ষার্থীদের এমন কাজকে স্বাগত জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। শিক্ষার্থীদের বাজার মনিটরিংয়ের প্রশংসা করে এক ব্যবসায়ী বলেন, তাদের এই কাজকে স্বাগত জানায়। না খেয়ে তারা রোদের মধ্যে অনেক কষ্ট করছে। এই শিক্ষার্থীরা রাস্তায় জীবন দিয়েছে তবুও তারা রাস্তা ছাড়েনি। রাস্তায় কোনো পুলিশ নেই, সরকার তাদের কোনো বেতন দিবে না তবুও তারা রাস্তা সামাল দিচ্ছে।
এম.কে
০৮ আগস্ট ২০২৪