যুক্তরাজ্যে আসা বহু আশ্রয়প্রার্থীর বিশ্বাস, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী রুয়ান্ডা নিরাপদ নয় এবং তাদের সঙ্গে ভালো আচরণ করবে না দেশটি। রুয়ান্ডা যাওয়া এড়াতে অনেক আশ্রয়প্রার্থী আত্মগোপনে চলে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই স্কিমটি চালু হওয়ার পর থেকে এই বিষয়ে বিভিন্ন রকম গুজব ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে আইনি উপদেষ্টারা স্কাই নিউজকে বলেছেন, লোকেরা তাদের আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
তারা জানান, লোকেরা ভীত এবং আতঙ্কিত। সরকারের এই স্কিমটি ব্যাকফায়ার করতে পারে।
স্কাই নিউজকে একজন আইন উপদেষ্টা গীথ কুলাসেগারাম বলেন, বিভিন্ন ধরনের আশ্রয়প্রার্থীদের কাছ থেকে অসংখ্য কল পেতে শুরু করেছি আমি। এদের অনেকে নতুন যুক্তরাজ্যে এসেছেন, অনেকে সম্প্রতি আশ্রয় দাবি করেছেন এবং কেউ কেউ আশ্রয় দাবি করার কথা ভাবছেন।
“এমন কিছু লোক আছে যারা আত্মগোপনে যাওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে চিন্তা করছে। যারা ইতোমধ্যেই আশ্রয় দাবি করেছেন, তারা আবেদন প্রত্যাহার করে আন্ডারগ্রাউন্ডে যাওয়ার কথা ভাবছেন”।
এই আইন উপদেষ্টার অফিসে শ্রীলঙ্কার একজন অ্যাসাইলাম সিকারের সাক্ষাতকার নেয় স্কাই নিউজ। ভিথুরা নামে একজন বলেন, ‘আমাকে লুকিয়ে থাকতে হবে কারণ আমি রুয়ান্ডায় যেতে পারি না।’
রুয়ান্ডা পরিকল্পনা প্রকাশের আগে ভিথুরা তার আশ্রয় দাবি শুরু করার জন্য কাগজপত্র জমা দেন। কিন্তু এখন দাবি দায়ের করা থেকে বিরত থাকতে চান।
“আমি খুব খারাপ বোধ করছি,” তিনি বলেছিলেন। “আমি জানি না এরপর কি হতে যাচ্ছে।”
নীলাকজান নামে আরেক আশ্রয়প্রার্থী বলেন, “যা ঘোষণা করা হয়েছে তা নিয়ে আমি ঠিকমতো খেতে বা ঘুমাতে পারিনি।”
তাদের আইনী উপদেষ্টা বলেছেন যে শ্রীলঙ্কায় তামিলরা এখনও নিপীড়নের মুখোমুখি হচ্ছে যা মানুষকে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার জন্য অবৈধ পথ ব্যবহার করে তাদের জীবনের ঝুঁকি নিতে বাধ্য করে।
২৩ এপ্রিল ২০২২
এনএইচ