মিয়ানমারে দ্বিতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাধারণ নির্বাচন। তবে এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারছেন না রোহিঙ্গারা, নির্বাচন হচ্ছে না রাখাইন স্টেটে।
রোববার (৮ নভেম্বর) জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা অগ্রাহ্য করে রোহিঙ্গাদের ছাড়াই দেশটিতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
নির্বাচনে দেশটির ৯১টি দল অংশ নিয়েছে। তবে নিরঙ্কুশ জয়ের প্রত্যাশা অং সান সু চি’র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি)। বিশেষত রোহিঙ্গা গণহত্যার পক্ষে কথা বলে মিয়ানমারে জনপ্রিয়তা বেড়েছে তার দলের।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বিরোধী দলগুলো নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়েছিল। তবে সরকার এবং নির্বাচন কমিশন সেই দাবি আমলে নেয়নি। তবে প্রবীণ ভোটারদের অগ্রিম ভোট দেওয়ার অনুমতি এবং সরকার ভোটার ও ভোটকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে।
নির্বাচনে এবার ৯১টি দল থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) এবং সেনাসমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি পার্টির (ইউএসডিপি) মধ্যে।
জাতীয় নির্বাচন হলেও বেশ কয়েকটি সংঘাতপূর্ণ স্থানে নির্বাচনের কোনো ব্যবস্থই করেনি দেশটির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে এই নির্বাচনের বাইরে রাখা হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, প্রায় দেড় মিলিয়ন মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না।
নির্বাচন নিয়ে এনএলডির পক্ষে সু চি বলেছেন, এ দেশে এখন স্বাধীনতা এসেছে। জনগণ নির্দ্বিধায় কথা বলতে পারে। আমি যখন জন্মগ্রহণ করেছি তখন দেশটি সামরিক শাসনের অধীনে ছিল। এনএলডি কেবল চার বছর ক্ষমতায় আছে, আমাদের নতুন ভবিষ্যতের জন্য এই উন্নয়ন চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
এবারের নির্বাচনে মোট নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা তিন কোটি ৭০ লাখ। নির্বাচনে বিজয়ী হতে হলে দুই কক্ষ বিশিষ্ট দেশটির সংসদের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে কমপক্ষে ২২১টি আসন এবং হাউজ অব ন্যাশনালিটিসে কমপক্ষে ১১৩টি আসন পেতে হবে।
কোনো রাজনৈতিক দল এককভাবে অথবা একাধিক রাজনৈতিক দল যুগ্মভাবে এই আসনগুলো পেলে যুক্ত সরকার গঠন করতে পারবে। তবে সংসদের উভয় কক্ষে এক চতুর্থাংশ আসন সামরিক বাহিনীর জন্য সংরক্ষিত থাকবে। নির্বাচনে বিজয়ী দল সরকার গঠন করবে ২০২১ সালের মার্চ মাসে।
৮ নভেম্বর ২০২০
এনএইচ