চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই খুব স্বাভাবিকভাবেই চলছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। ঠিক তখনই বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে খাবার ফেলে পালিয়ে যান বরযাত্রীসহ দাওয়াতে আমন্ত্রিত আত্মীয়-স্বজনেরাও।
সোমবার (২৬ জুলাই) বিকেলে নেত্রকোনা জেলার পাহাড়ি সীমান্ত উপজেলা দুর্গাপুরে এ ঘটনা ঘটে।
তবে করোনাকালীন সময়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জনসমাগম করে বিয়ের আয়োজন করায় জরিমানা গুণতে হয়েছে আয়োজকদের। সোমবার বিকেলে উপজেলার পৌর শহরের চরমোক্তারপাড়া এলাকায় একটি বিয়ে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিব উল আহসান।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে মো. শহিদুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালান প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এ সময় প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে টেবিলে খাবার রেখেই পালিয়ে যায় বরযাত্রী থেকে শুরু করে দাওয়াতি মেহমানরা।
আগে রোববার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় একই বাড়িতে জাঁকজমক ভাবে মেয়ের হলুদ সন্ধ্যার আয়োজন করেন শহিদুল ইসলাম।সোমবার চলমান এই লকডাউনের মাঝেই প্রায় দুই শত মানুষের খাবারের আয়োজন করে মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বরযাত্রীসহ আশপাশের বাসিন্দারা কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই খাওয়া-দাওয়া ও আনন্দ করতে দেখা যায়। তবে প্রশাসনের উপস্থিতিতে মুহূর্তের মধ্যেই খালি হয়ে যায় পুরো বিয়ে বাড়ি। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য ও মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা রেখে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় শহিদুল ইসলামকে।
২৬ জুলাই ২০২১
নিউজ ডেস্ক