যুক্তরাজ্যে প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু। রোববার (২০ ডিসেম্বর) থেকে লন্ডনে চতুর্থ স্তরের (টিয়ার-৪) বাঁ লকডাউন সমতুল্য বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। এই লকডাউন এড়াতে শহরটি ছাড়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন মানুষ।
ট্রেনে ও গাড়িতে বিপুলসংখ্যক মানুষকে শহর ছাড়তে দেখা যায়। চতুর্থ স্তরের লকডাউনই সবচেয়ে কঠিনতম। গত বসন্তেও এ ধাপের লকডাউন দেওয়া হয়েছিল লন্ডনে।
লন্ডনবাসীর এভাবে অন্যত্র চলে যাওয়ার সমালোচনা করে শহরটির মেয়র সাদিক খান বলেছেন, তারা ভাইরাসটি ছড়িয়ে দিতে যাচ্ছেন। এতে তাদের স্বজনরা ঝুঁকিতে পড়বেন।
এদিকে যুক্তরাজ্যে শনাক্ত কভিড-১৯-এর নতুন একটি ধরন আরও দ্রুত ছড়াতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ক্রিস উইটি। এটি মৃত্যুর হার আরও বৃদ্ধির কারণ যেন না হতে পারে, তা নিশ্চিত করতে জরুরিভিত্তিতে কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এক বিবৃতিতে অধ্যাপক উইটি বলেছেন, করোনাভাইরাসের নতুন এ রূপটি সম্পর্কে যুক্তরাজ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও অবহিত করেছে। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেন, এ ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্তের কথা ঘোষণার পর দেশটি থেকে ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়াম।
নেদারল্যান্ডস সরকার জানিয়েছে, রোববার থেকে যাত্রীবাহী ফ্লাইটের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে এবং তা ১ জানুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
এদিকে নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়ামের পর ইতালি, জার্মানি ও ফ্রান্সও যুক্তরাজ্যের ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করতে যাচ্ছে। অন্যদিকে ফ্লাইট বন্ধের ইঙ্গিত দিয়েছেন ইতালির পররাষ্টমন্ত্রী। ফ্রান্স ও জার্মানিও যুক্তরাজ্যের ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে।
সূত্র :বিবিসি, আলজাজিরা ও সিএনএন
২১ ডিসেম্বর ২০২০