TV3 BANGLA
বাংলাদেশযুক্তরাজ্য (UK)

লন্ডনে আলোচনায় আপসানা বেগমঃ কাউন্সিল হাউসে থাকায় প্রশ্ন উঠেছে ন্যায্যতা নিয়ে

লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত পপলার–অ্যান্ড–লাইমহাউস এলাকার সংসদ সদস্য আপসানা বেগম আবারও নতুন এক বিতর্কের মুখে পড়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, বছরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আয় থাকা সত্ত্বেও তিনি এখনো কাউন্সিলের ঘরে বসবাস করছেন— যা সাধারণভাবে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য বরাদ্দ।
স্থানীয় এক বাসিন্দা ফেসবুকে লেখেন, “এলাকায় হাজারো মানুষ গৃহহীন, সরকারি বাসস্থানের জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করছেন। অথচ একজন সংসদ সদস্য এমন ঘরে থাকছেন— এটা ন্যায়সঙ্গত নয়।” এই পোস্ট দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে অনেকে এতে সায় দেন এবং আপসানা বেগমের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তবে সমালোচনার বিপরীতে সমর্থকদের একাংশ এমপি আপসানার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তারা বলেন, তিনি ডমোস্টিক ভায়োলেন্সের শিকার ছিলেন এবং সংখ্যালঘু নারী হিসেবে রাজনীতিতে প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করছেন। সাধারণ নাগরিকের মতো সরকারি সুবিধা নেওয়ায় তার দোষ খুঁজে পাওয়া ঠিক নয় বলেও তারা মনে করেন।

অন্যদিকে সমালোচকরা বলছেন, সংসদ সদস্য হিসেবে উচ্চ বেতন ও সুবিধা ভোগ করেও তিনি দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ বাসায় থাকছেন— এটি নৈতিকতার পরিপন্থী। তাদের দাবি, আপসানার উচিত ছিল এই বাসা ছেড়ে প্রয়োজনে থাকা গৃহহীন পরিবারকে সুযোগ দেওয়া।

আপসানা বেগমের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে, যেখানে তার প্রয়াত বাবা একসময় জনপ্রতিনিধি ছিলেন। তার পরিবারের শিকড় বাংলাদেশের সুনামগঞ্জে। সংসদে পারিবারিক সহিংসতা ও নারীর নিরাপত্তা নিয়ে তার সাম্প্রতিক আবেগঘন বক্তব্য ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিল, যা তাকে সাধারণ মানুষের কাছে সহমর্মী নেত্রী হিসেবে তুলে ধরে।

আবাসন সংক্রান্ত অভিযোগে তার মন্তব্য জানতে ফোন ও বার্তা পাঠানো হলেও আপসানা বেগমের কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এ নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে আলোচনা আরও তীব্র হচ্ছে, এবং অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন— একজন প্রভাবশালী এমপি কি সাধারণ নাগরিকের জন্য নির্ধারিত সুবিধা ভোগ করা উচিত?

সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া

এম.কে

আরো পড়ুন

দালালের মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা বেশি সিলেট বিভাগে

নিজস্ব দাতব্য প্রতিষ্ঠানের জন্য বড় অনুদান নেবেন না প্রিন্স চার্লস

বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান হচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস