লন্ডনে তুর্কি দূতাবাসের সামনে কুরআনের একটি কপি পোড়ানোর ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া এক ব্যক্তি তার শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। তার দাবি, এটি ছিল তার “মতপ্রকাশের মানবাধিকার”।
৫০ বছর বয়সী হামিত কোসকুন গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নাইটসব্রিজের রাটল্যান্ড গার্ডেনসে ইসলাম ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করতে করতে কুরআনের একটি কপি আগুনে পোড়ান। ঘটনাস্থলটি তুরস্কের লন্ডন দূতাবাসের সামনের এলাকা হওয়ায় ঘটনাটি দ্রুত আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করে।
ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্ট গত জুন মাসে তাকে ধর্মীয়ভাবে উসকানিমূলক জনশৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে। আদালত তাকে £২৪০ জরিমানা এবং £৯৬ সারচার্জ প্রদানের নির্দেশ দেয়।
বিচারক জন ম্যাকগার্ভা রায়ের সময় বলেন, কোসকুনের কর্মকাণ্ড ছিল “উসকানিমূলক ও বিদ্রূপাত্মক” এবং তা স্পষ্টভাবে “ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি গভীর ঘৃণা” থেকে উদ্ভূত।
প্রমাণে উঠে আসে, কুরআন পোড়ানোর সময় কোসকুন উচ্চস্বরে বলেন, “ইসলাম হলো সন্ত্রাসবাদের ধর্ম” এবং “কুরআন পুড়ছে”— যা উপস্থিতদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
কোসকুনের আইনজীবী আপিলে যুক্তি দিয়েছেন যে তার কর্মকাণ্ড “ধর্মীয় ঘৃণার প্রচার নয়, বরং মতপ্রকাশের অধিকার প্রয়োগ”। আপিল প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে, এবং আদালত আগামী শুনানিতে রায়ের পুনর্বিবেচনা করবে বলে জানা গেছে।
সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া
এম.কে
১০ অক্টোবর ২০২৫