পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের টার্মিনাল ১-এ পানের পিক ফেলার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ছবিটি তুলেছেন সাংবাদিক রনি মোহাম্মদ, যিনি বিষয়টি নিয়ে সচেতনতার আহ্বান জানিয়েছেন।
ছবিতে দেখা যায়, ব্যস্ত টার্মিনাল এলাকায় মেঝেতে পানের পিকের লালচে দাগ, যা দেখে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ইউরোপের অন্যতম পরিচ্ছন্ন এই বিমানবন্দরে এমন দৃশ্য শুধু অস্বস্তিকরই নয়, বরং প্রবাসীদের সাংস্কৃতিক সচেতনতা ও ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিটি ছড়িয়ে পড়ার পর নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, “একজনের এমন আচরণ পুরো জাতির ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।” অন্যরা লিখেছেন, “পানের সংস্কৃতি ভুল নয়, কিন্তু প্রকাশ্যে নোংরা করা সভ্য সমাজে লজ্জাজনক।”
সম্প্রতি পর্তুগালে বাংলাদেশি সম্প্রদায়কে নিয়ে মূলধারার রাজনীতিতে নানা ধরনের নেতিবাচক প্রচারণা চলায়, এই ঘটনাটি আরও সংবেদনশীল হয়ে উঠেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের ঘটনা সেই প্রচারণাকে বাড়তি ইন্ধন জোগাতে পারে এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের সামাজিক অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।
স্থানীয় প্রবাসী সংগঠনগুলো বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, ব্যক্তিগত অসচেতনতার কারণে পুরো সম্প্রদায়ের ভাবমূর্তি কলঙ্কিত হচ্ছে, যা প্রতিহত করতে জনসচেতনতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন।
সাংবাদিক রনি মোহাম্মদ নিজ ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এমন আচরণ শুধু লজ্জার নয়, এটি আমাদের সামাজিক অবস্থানেরও অপমান।” তার পোস্টটি ইতোমধ্যে শতাধিকবার শেয়ার হয়েছে এবং বিভিন্ন প্রবাসী গ্রুপে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশের মাটিতে জাতির পরিচয় বহন করেন প্রতিটি প্রবাসী। তাই তাদের আচরণ শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং রাষ্ট্রীয় ইমেজের সঙ্গেও জড়িত।
সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া
এম.কে

