যুক্তরাজ্যের হোম সেক্রেটারি শাবানা মাহমুদের প্রস্তাবিত কঠোর ইমিগ্রেশন পরিকল্পনা নিয়ে প্রবাসী কমিউনিটিতে তীব্র উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নতুন নীতির মাধ্যমে বৈধ অভিবাসী, কর্মী, পরিবারভিত্তিক ভিসাধারীসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির মানুষের জন্য স্থায়ী হওয়ার পথ দীর্ঘ ও জটিল হয়ে যেতে পারে বলে মত দিচ্ছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।
হোম অফিস ইতোমধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক কনসালটেশন চালু করেছে, যেখানে নাগরিক ও স্টেকহোল্ডারদের মতামত আহ্বান করা হচ্ছে। অভিবাসন নীতির সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে সচেতন সকলকে এতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিভিন্ন প্রবাসী সংগঠন ও অধিকারকর্মীরা।
প্রস্তাবিত পরিবর্তনের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো—ব্রেক্সিট-পরবর্তী ভিসাধারীদের জন্য আইএলআর (Indefinite Leave to Remain) আবেদন করতে ৫ বছরের পরিবর্তে ১৫ বছর অপেক্ষা করার বাধ্যবাধকতা। এটি কার্যকর হলে দেশের স্বাস্থ্য, কেয়ার, শিক্ষা ও জরুরি সেবাখাতে বিদেশি কর্মীদের ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে সতর্ক করা হচ্ছে।
এ ছাড়া, পরিবারভিত্তিক ভিসা, নির্ভরশীলদের আয়ের শর্ত, দীর্ঘমেয়াদি রেসিডেন্স রুট, সুবিধা পাওয়ার যোগ্যতা—সবকিছুতেই কঠোরতা বাড়ানোর ইঙ্গিত রয়েছে। সমালোচকদের মতে, এসব পরিবর্তন অভিবাসীদের জন্য অনিশ্চয়তা এবং মানসিক চাপ বাড়াবে। বিশেষ করে যারা বহু বছর ধরে যুক্তরাজ্যে কাজ করছেন, তারা হঠাৎ করে ‘অস্থায়ী অবস্থায়’ আটকে পড়তে পারেন।
অভিযুক্ত নীতির বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে প্রবাসীদের মধ্যে কনসালটেশন লিংক ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। কমিউনিটি নেতাদের মতে, সরকার যদি পরামর্শের ধাপে শক্ত প্রতিক্রিয়া পায়, তাহলে নীতির চূড়ান্ত সংস্করণে পরিবর্তন আনা সম্ভব হতে পারে।
হোম অফিসের কনসালটেশন ফর্মে নাগরিকরা পরিকল্পনার বিভিন্ন দিক নিয়ে মতামত দিতে পারবেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি শুধুমাত্র সমালোচনা নয়—ব্যবহারিক, ন্যায্য এবং মানবাধিকারসম্মত বিকল্প প্রস্তাব দেওয়ারও সুযোগ।
কনসালটেশন লিংকঃ https://ukhomeoffice.
সূত্রঃ হোম অফিস / স্যোশাল মিডিয়া
এম.কে

