ব্রিটেনের প্রযুক্তি সচিব পিটার কাইল ইঙ্গিত দিয়েছেন, শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি ঠেকাতে সরকার অ্যাপ ব্যবহারে সময়সীমা বা “অ্যাপ কারফিউ” চালুর কথা ভাবছে। তার মতে, শিশুদের স্মার্টফোন ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে একটি সুস্থ ভারসাম্য নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
গত সপ্তাহান্তে দ্য মিরর-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার এমন একটি পরিকল্পনা বিবেচনা করছে যেখানে শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের সময় দিনে দুই ঘণ্টার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হতে পারে, অথবা রাত ১০টার পর এবং স্কুল চলাকালীন সময়ে কনটেন্ট অ্যাক্সেসে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে।
বিবিসির লরা কুইন্সবার্গ শো-তে কাইল বলেন, “আমি আসক্তিমূলক আচরণ ভাঙার উপায় খুঁজছি, এবং চাই শিশুদের জন্য অনলাইনে একটি স্বাস্থ্যকর ও ইতিবাচক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে।” তিনি আরও বলেন, জুলাই থেকে নতুন আইন অনুযায়ী, অনুপযুক্ত কনটেন্ট সরবরাহে ব্যর্থ হলে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হতে হবে।
তবে তিনি জানান, এখনই ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার কোনও পরিকল্পনা নেই, তবে ভবিষ্যতে সব ধরনের বিকল্প খতিয়ে দেখা হবে।
শিশুদের অনলাইন সময় নিয়ে উদ্বেগের ভিত্তি রয়েছে। সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, ইংল্যান্ডের ৮–১৫ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে ২৩% প্রতিদিন চার ঘণ্টারও বেশি সময় ইন্টারনেট-সক্ষম ডিভাইসে কাটায়।
এছাড়া, শিক্ষা সচিব ব্রিজেট ফিলিপসন স্কুলে স্মার্টফোন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব খতিয়ে দেখছেন। বর্তমান নির্দেশনা অনুযায়ী, স্কুলে ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তার বাস্তবায়নের কোনও নির্দিষ্ট কাঠামো নেই।
অন্যদিকে, ‘স্মার্টফোন-ফ্রি চাইল্ডহুড’ নামের একটি প্যারেন্ট ক্যাম্পেইনও জোর পাচ্ছে, যেখানে অভিভাবকেরা সন্তানদের নবম শ্রেণি শেষ হওয়া পর্যন্ত ফোন না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
প্রযুক্তির সুফলকে কাজে লাগিয়ে ঝুঁকি কমিয়ে শিশুদের জন্য নিরাপদ অনলাইন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার দিকেই এবার দৃষ্টি সরকারের।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
০৮ জুন ২০২৫