9.1 C
London
November 27, 2024
TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

‘শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যকলাপে’ জুলাইয়ে ইসকন থেকে বহিষ্কার হন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুন্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যকলাপের কারণে গত জুলাই মাসে বহিষ্কার করেছিল আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)।

চট্টগ্রামের হাজারি গলির ঘটনা প্রসঙ্গে গত ৯ নভেম্বর রাজধানীর স্বামীবাগ ইসকন আশ্রমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী একথা জানিয়েছিলেন।

সেদিন তিনি বলেছিলেন, গত জুলাইয়ে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ইসকনের যাবতীয় কার্যক্রম থেকে চট্টগ্রামের পুন্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌরদাস ও সদস্য স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাসকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ বহিষ্কৃতদের মাধ্যমে সংঘটিত কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে ইসকন জড়িত নয় বলেও দাবি করেছিলেন চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী। সেদিন তিনি এ-ও বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা বা সহিংসতার মতো বেআইনি কাজের সঙ্গে ইসকনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’

সাম্প্রতিক সময়ে সনাতনীদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে বক্তব্যের জন্য ব্যাপক আলোচিত চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুন্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী সদ্য গড়ে ওঠা বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

বাংলাদেশে ইসকনের সংগঠকদের মধ্যে অন্যতম চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে ভক্তরা ‘চিন্ময় প্রভু’ নামে ডাকেন। সোমবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তারের পর নিন্দা জানিয়ে বিভিন্ন সনাতনী সংগঠন বিবৃতি দিলেও নীরব রয়েছে ইসকন বাংলাদেশ।

এদিকে গ্রেপ্তারের পর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে বেলা পৌনে ১২টার দিকে শুনানি শেষে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ চট্টগ্রামের লালদীঘির মাঠে মহাসমাবেশ করে। ওই সমাবেশে চট্টগ্রামসহ আশপাশের জেলা থেকে হাজারো মানুষ যোগ দেন। ওইদিন নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্ট স্তম্ভ ও আশপাশে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর ধর্মীয় গোষ্ঠী ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা স্থাপন করা হয়। এ নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

ওই ঘটনায় ৩১ অক্টোবর বিএনপি নেতা ফিরোজ খান (পরে বহিষ্কৃত) বাদী হয়ে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়। মামলার পরই দুজনকে রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাস নামে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সবশেষ গ্রেপ্তার হলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী।

এম.কে
২৭ নভেম্বর ২০২৪

আরো পড়ুন

বাধ্যতামূলক অবসরে ২ সেনা কর্মকর্তা

ডিএমপিঃ ৫ আগস্ট পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে

বেক্সিমকো-এস আলমসহ ১০ শিল্পগ্রুপে বসছে রিসিভার