ওয়াশিংটনের উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, ঢাকার সাথে সম্পর্ক ভারতের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয় হয়ে উঠেছে। তিনি দিল্লিকে পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, যেকোনো উচ্চপর্যায়ের সাক্ষাতে অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে আলোচনা করার ক্ষেত্রে ভারতকে এমন বিষয়গুলো নিয়ে মনোযোগী হতে হবে, যা তারা বর্তমানে এড়িয়ে যেতে চায়। সঙ্গত কারণেই সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এ প্রতিবেদনটির শিরোনাম হচ্ছে ইউনূস-মোদির বৈঠকের ভবিষ্যৎ কী?
কুগেলম্যান বলেন, প্রধান সমস্যা হলো ভারতে শেখ হাসিনার উপস্থিতি। অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের দাবি করলেও দিল্লি তাকে ছাড়তে চাচ্ছে না। কারণ, হাসিনার ভারতের অনেক নেতার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, যদি মোদি ইউনুসের সাথে সাক্ষাৎ করেন, তবে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা এড়ানো অসম্ভব হবে।
গত সপ্তাহে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঢাকা থেকে আসা মোদি এবং ইউনুসের মধ্যে বৈঠকের অনুরোধ মানা হবে কিনা, তা দিল্লি এখনো নিশ্চিত করেনি। তবে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেয়ার জন্য এ মাসের শেষের দিকে দুইজনেরই নিউ ইয়র্কে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জানিয়েছে, তারা ভারতের কাছ থেকে হাসিনার প্রত্যর্পণ নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে, যাতে আগস্টে গণবিক্ষোভ দমনে চালানো প্রাণঘাতী সহিংসতার মামলায় তার বিচার করা যায়। প্রাথমিকভাবে শেখ হাসিনার ভারতে অল্প কিছুদিন থাকার কথা ছিল। তবে প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে শেখ হাসিনার আশ্রয় প্রার্থনার চেষ্টা এখন পর্যন্ত সফল হয়নি।
এ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন বলেন, মোদি-ইউনুস বৈঠক ভারতের জন্য অস্বস্তিকর হলেও, বৈঠকটি যত দ্রুত হবে, দিল্লির জন্য ততই ভালো হবে। দিল্লিকে বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে ‘বাংলাদেশ ২.০’এর সাথে জড়িত হওয়া শুরু করতে হবে, যা কখনোই ভারতের সমীকরণে ছিল না।
এম.কে
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪