২০২০ সালেই মাস্ক ঘোষণা করেছিলেন, সাদাসিধে জীবনযাপন করবেন তিনি। কোনও প্রাচুর্য থাকবে না। এরপরই একে একে সম্পত্তি বিক্রি করতে শুরু করেন তিনি। একটি ওয়েবসাইটে তার পাঁচটি বাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল।
পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি তিনি। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২২ হাজার ৯৮০ কোটি ডলার।
বিলাসবহুল প্রাসাদে নয়, ইলন মাস্ক থাকেন দু’কামরার একটি ফ্ল্যাটে। টেক্সাসের বোকো চিকায় দু’কামরার একটি ছোট ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি। এই বাড়িতে থাকতে শুরু করার আগে ২০২০ সালে পাঁচটি বড়সড় বাড়ি বিক্রি করেছিলেন টেসলাকর্তা।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মাস্কের এই ফ্ল্যাটের আয়তন মাত্র ৩৭৫ বর্গফুট। ৫০ হাজার ডলার দিয়ে সেটি কিনেছিলেন তিনি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৫০ লাখ টাকা।
লাস ভেগাসের একটি নির্মাণ সংস্থা ফ্ল্যাটটি তৈরি করেছিল। ওই সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, মাস্ক যে ফ্ল্যাটে থাকেন, তাতে রয়েছে একটি বেডরুম এবং একটি বসার ঘর। ফ্ল্যাটে রয়েছে ছোট্ট একটি শৌচালয়, একটি স্নানের জায়গা, একটি রান্নাঘর, আগুন পোহানোর জায়গা, জামা-কাপড় রাখার জন্য ওয়াক-ইন ক্লোজেট।
ছোট হলেও ওই ফ্ল্যাটে সমস্ত আধুনিক সরঞ্জাম রয়েছে। ফ্ল্যাটটি আগুন এবং ভূমিকম্প নিরোধক। ইসাকসন মাস্কের বাড়ির যে ছবি দিয়েছেন, তাতে দেখা গেছে তার ঘরদোর বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। ছিমছাম ঘরে খুব কম আসবাব রয়েছে। টেবিলের উপর সাজানো রয়েছে একটি রকেটের প্রতিকৃতি, একটি জাপানি তলোয়ার।
মাস্কের বসার ঘরের দেওয়ালে রয়েছে একটি ছবি। একটি বিখ্যাত বিজ্ঞান পত্রিকার প্রচ্ছদ ফ্রেমে বাঁধানো রয়েছে। সেখানেও মহাকাশ গবেষণার বিষয়টিই উঠে এসেছে।
২০২১ সালে নিজের শেষ বাড়িটিও তিন কোটি ডলারে বিক্রি করে দেন মাস্ক। শেষে ৫০ হাজার ডলার দিয়ে কেনেন এই ফ্ল্যাট। সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত হতে পারে মাস্কের জীবনী। এখন থেকেই তা নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে। মনে করা হচ্ছে, সেই বইতে মাস্কের সঙ্গে তার বাবার টালমাটাল সম্পর্ক উঠে আসতে পারে।
মাস্কের জীবনের শুরুটা কেটেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেই সময়টা প্রভাব ফেলেছে তার পরবর্তী জীবনে। সে সবই থাকবে জীবনীতে। অল্প বয়স থেকে ঝুঁকি নেওয়ার প্রতি ঝোঁক ছিল তার। ঝুঁকি নিয়েই তৈরি করেছিলেন ব্যাটারিচালিত গাড়ি তৈরির সংস্থা টেসলা এবং স্পেস এক্স।
এম.কে
৩১ আগস্ট ২০২৩