সরকারি ডিভাইসে চীনা মেসেজিং অ্যাপ উইচ্যাট নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার আইনপ্রণেতারা। ‘জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির’ কথা বিবেচনা করে এটি নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে দেশটি।
বিশ্ব গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিদেশি শক্তিগুলো কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তায় হস্তক্ষেপ করে তা তদন্ত করে একটি সিনেট কমিটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য বেশ কয়েকটি নিয়ম এবং বিধিনিষেধের সুপারিশ করেছে।
গত সপ্তাহে দেওয়া ওই তদন্ত প্রতিবেদনে সরকারি ডিভাইসগুলোতে চীনা মেসেজিং অ্যাপ উইচ্যাট নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এর আগে গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে মিল রেখে সরকারি ডিভাইসে টিকটক নিষিদ্ধ করে অস্ট্রেলিয়া।
কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর প্যাটারসন এক বিবৃতিতে বলেন, টিকটক ও উইচ্যাটের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো ‘অনন্য জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি’ সৃষ্টি করেছে, কারণ তাদের মূল প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স অ্যান্ড টেনসেন্ট এর সদর দপ্তর চীনে অবস্থিত।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, টিকটক এবং উইচ্যাটের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো কর্তৃত্ববাদী শাসকদের নিয়ন্ত্রণের অধীন, যা সংবেদনশীল সরকারি তথ্যের জন্য বিস্তৃত সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকিকে চিত্রিত করে।
কমিটি আরও সুপারিশ করেছে যে, অস্ট্রেলিয়া যেন ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উন্নয়নশীল দেশগুলোকে কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রগুলোর ‘দূষিত তথ্য অপারেশন’ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
উইচ্যাটের মূল প্রতিষ্ঠান টেনসেন্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আমরা কমিটির প্রতিবেদন ও সুপারিশগুলো বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করছি। আমরা সিনেট কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করার পাশাপাশি উইচ্যাট ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
উইচ্যাট গত সপ্তাহে একটি লিখিত জবাবে তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছে যে, বেইজিং তাদের কখনও ব্যবহারকারীদের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে বলেনি।
এম.কে
১৩ আগস্ট ২০২৩