যুক্তরাজ্যের রুদাকুবানা ৯ বছর বয়সী অ্যালিস দা সিলভা আগুইয়ার, ৬ বছর বয়সী বেবে কিং এবং ৭ বছর বয়সী এলসি ডট স্ট্যানকম্বকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। এছাড়া, তিনি আরও আটজন শিশু এবং দুইজন প্রাপ্তবয়স্ককে হত্যার চেষ্টার অভিযোগও স্বীকার করেছেন।
অ্যাক্সেল রুদাকুবানা, যিনি গত বছর সাউথপোর্টে টেলর সুইফটের একটি নৃত্য ক্লাসে হামলা চালান। এই ঘটনাটি ব্রিটেনে শিশুদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিকল্পিত আক্রমণ হিসেবে ধরা হচ্ছে, যা ডানব্লেন গণহত্যার পর নজিরবিহীন।
রুদাকুবানা, হামলার সময় ১৭ বছর বয়সী ছিলেন বলে তথ্যমতে জানা যায়। সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর জন্য অস্ত্র এবং বিষাক্ত রাসায়নিক রাইসিন উৎপাদনের অভিযোগেও তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
লিভারপুল ক্রাউন কোর্টে, রুদাকুবানা তার দোষ স্বীকার করেন। আদালতে নীল রঙের মাস্ক পরা রুদাকুবানা প্রথমে নিজের পরিচয় নিশ্চিত করতে এবং দাঁড়াতে অস্বীকৃতি জানান। পরে তার আইনজীবী স্ট্যানলি রেইজ কেসি তাকে দোষ স্বীকারের জন্য রাজি করান।
২৯ জুলাই, রুদাকুবানা তার বাড়ি থেকে প্রায় পাঁচ মাইল দূরে সাউথপোর্টের হার্ট স্পেস নামক একটি কমিউনিটি সেন্টারে ট্যাক্সি নিয়ে যান। নৃত্য স্কুল ছুটির আগে নৃত্য ক্লাসে তিনি ছুরি দিয়ে আক্রমণ চালান।
এই হামলার ফলে নিহতদের পরিবার এবং স্থানীয় সম্প্রদায় গভীরভাবে শোকাহত হয়। যা পরবর্তীতে সারা দেশে দাঙ্গার সৃষ্টি করে।
রুদাকুবানা দোষ স্বীকার করার পর বিচারক মি. জাস্টিস গুজ বলেন, “এই মামলার জন্য আপনাকে যাবৎজীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে।”
পুলিশ জানিয়েছে, হামলার কয়েকদিন পর রুদাকুবানার বাড়ি তল্লাশি করে রাইসিন পাওয়া যায়। যদিও পুলিশ এই ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে ঘোষণা করেনি।
উল্লেখ্য যে, আইনি কারণে হামলায় আহত অন্যান্য শিশুদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
২১ জানুয়ারি ২০২৫