২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ সালে জনগণের অংশগ্রহণবিহীন ‘ভুয়া’ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন এবং অনির্বাচিত ব্যক্তিদের সংসদ সদস্য ঘোষণা করার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক তিনপ্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবুদ্দিন আহমদ, কেএম নুরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ ও সচিবদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়েছে চট্টগ্রামে। মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে- ওবায়দুল কাদেরসহ তিন মেয়াদে থাকা সংসদ সদস্যদের।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৬ কাজী শরিফুল হকের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম। আদালত মামলা গ্রহণ করে তদন্তপূর্বক চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মূলত মামলায় আসামি করা হয়- ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্বরত তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবুদ্দিন আহমদ, কেএম নূরুল হুদা, কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ, মো. জাবেদ আলী, মো. আবদুল মোবারক, মো. শাহনেওয়াজ, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী, নির্বাচন কমিশনা সচিব হেলাল উদ্দিন আহমদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিসুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমকে।
এ ছাড়া ‘ভুয়া’ নির্বাচনের নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নির্বাচনে নিজেদের ভুয়া জাতীয় সংসদ সদস্য পরিচয়দানকারী হিসেবে সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয় ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের একপেশে, জনগণের অংশগ্রহণবিহীন ভুয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন ও সংবিধান রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধানের শপথ ভঙ্গ করে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের ভুয়া সংসদ সদস্য ঘোষণার ক্ষেত্রে আসামিদের সক্রিয় ভূমিকা ও অংশগ্রহণ ছিল। ভুয়া নির্বাচন আয়োজন ও অনির্বাচিত ব্যক্তিদের সংসদ সদস্য ঘোষণার কারণে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন, জাতীয় সংসদসহ সব সাংবিধানিক কাঠামোর প্রতি মানুষের আস্থা, বিশ্বাস ও প্রত্যয় নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সংসদ সদস্যদের ব্যঙ্গ করে ক্ষুব্ধ জনগণ ২০১৪ সালের সংসদ সদস্যদের বিকাশ এমপি, ২০১৮ সালের সংসদ সদস্যদের নিশিরাতের এমপি ও ২০২৪ সালের সংসদ সদস্যদের ডামির এমপি বলে হেয় করত।
আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে-পরিকল্পনায় বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকারসহ সব অধিকার হরণ করে তাদের শোষণের ও লুণ্ঠনের জন্য একের পর এক প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে অনির্বাচিত লোকদের ভুয়া জাতীয় সংসদ সদস্য ঘোষণা করে সংসদ ও নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা, বিশ্বাস ও প্রত্যয় নষ্ট করে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
মামলার বাদী চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. একরামুল করিম বলেন, বিগত সময়ের তিন সংসদ নির্বাচনগুলোয় জনগণের অংশগ্রহণবিহীন ভুয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন এবং অনির্বাচিত ব্যক্তিদের সংসদ সদস্য ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনগুলো জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। এসব অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আমি চাই তাদের সুষ্ঠু বিচার হোক।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও সবশেষ ২০২৪ সালে ভুয়া নির্বাচন আয়োজনের ঘটনায় সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বাধীন ইসিসহ মোট ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা হয়েছে। আদালত সিএমপি কমিশনারকে একজন সহকারী কমিশনারের নিচে নয় এমন পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে মামলার অভিযোগ তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন বলেন, গত তিন নির্বাচনে বিরোধীদলসহ অনেক জনপ্রিয় নেতার অংশগ্রহণ ছিল না। সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। যারা কমিশনে ছিলেন তাদের ব্যর্থতার কারণে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নির্বাচনী মাঠে একপেশে আচরণ করেছে। বিপুল টাকা ব্যয়ে যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে তাতে সংবিধানের খেসাবেক তিন সিইসির বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা, আসামি হাসিনা-কাদেরও;
২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ সালে জনগণের অংশগ্রহণবিহীন ‘ভুয়া’ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন এবং অনির্বাচিত ব্যক্তিদের সংসদ সদস্য ঘোষণা করার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক তিনপ্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবুদ্দিন আহমদ, কেএম নুরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ ও সচিবদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়েছে চট্টগ্রামে। মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে- ওবায়দুল কাদেরসহ তিন মেয়াদে থাকা সংসদ সদস্যদের।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৬ কাজী শরিফুল হকের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম। আদালত মামলা গ্রহণ করে তদন্তপূর্বক চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মূলত মামলায় আসামি করা হয়- ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্বরত তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবুদ্দিন আহমদ, কেএম নূরুল হুদা, কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ, মো. জাবেদ আলী, মো. আবদুল মোবারক, মো. শাহনেওয়াজ, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী, নির্বাচন কমিশনা সচিব হেলাল উদ্দিন আহমদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিসুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমকে।
এ ছাড়া ‘ভুয়া’ নির্বাচনের নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নির্বাচনে নিজেদের ভুয়া জাতীয় সংসদ সদস্য পরিচয়দানকারী হিসেবে সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয় ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের একপেশে, জনগণের অংশগ্রহণবিহীন ভুয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন ও সংবিধান রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধানের শপথ ভঙ্গ করে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের ভুয়া সংসদ সদস্য ঘোষণার ক্ষেত্রে আসামিদের সক্রিয় ভূমিকা ও অংশগ্রহণ ছিল। ভুয়া নির্বাচন আয়োজন ও অনির্বাচিত ব্যক্তিদের সংসদ সদস্য ঘোষণার কারণে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন, জাতীয় সংসদসহ সব সাংবিধানিক কাঠামোর প্রতি মানুষের আস্থা, বিশ্বাস ও প্রত্যয় নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সংসদ সদস্যদের ব্যঙ্গ করে ক্ষুব্ধ জনগণ ২০১৪ সালের সংসদ সদস্যদের বিকাশ এমপি, ২০১৮ সালের সংসদ সদস্যদের নিশিরাতের এমপি ও ২০২৪ সালের সংসদ সদস্যদের ডামির এমপি বলে হেয় করত।
আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে-পরিকল্পনায় বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকারসহ সব অধিকার হরণ করে তাদের শোষণের ও লুণ্ঠনের জন্য একের পর এক প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে অনির্বাচিত লোকদের ভুয়া জাতীয় সংসদ সদস্য ঘোষণা করে সংসদ ও নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা, বিশ্বাস ও প্রত্যয় নষ্ট করে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
মামলার বাদী চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. একরামুল করিম বলেন, বিগত সময়ের তিন সংসদ নির্বাচনগুলোয় জনগণের অংশগ্রহণবিহীন ভুয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন এবং অনির্বাচিত ব্যক্তিদের সংসদ সদস্য ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনগুলো জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। এসব অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আমি চাই তাদের সুষ্ঠু বিচার হোক।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও সবশেষ ২০২৪ সালে ভুয়া নির্বাচন আয়োজনের ঘটনায় সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বাধীন ইসিসহ মোট ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা হয়েছে। আদালত সিএমপি কমিশনারকে একজন সহকারী কমিশনারের নিচে নয় এমন পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে মামলার অভিযোগ তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন বলেন, গত তিন নির্বাচনে বিরোধীদলসহ অনেক জনপ্রিয় নেতার অংশগ্রহণ ছিল না। সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। যারা কমিশনে ছিলেন তাদের ব্যর্থতার কারণে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নির্বাচনী মাঠে একপেশে আচরণ করেছে। বিপুল টাকা ব্যয়ে যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে তাতে সংবিধানের খেলাপ করেছেন কমিশনারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এসব কারণে রাষ্ট্রদ্রোহ ও প্রতারণা মামলা করা হয়েছে।
এম.কে
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
লাপ করেছেন কমিশনারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এসব কারণে রাষ্ট্রদ্রোহ ও প্রতারণা মামলা করা হয়েছে।
এম.কে
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪