24.6 C
London
September 19, 2024
TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

সাবেক মেয়র আরিফুল হকের সহযোগিতায় পালিয়েছেন আনোয়ারুজ্জামান

সিলেট সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দেশ ছেড়ে লন্ডনে পালিয়েছেন। তবে তিনি কবে ও কীভাবে লন্ডনে এলেন, তা জানা যায়নি।

স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দুপুরে বার্তা আদান–প্রদানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠালে আনোয়ারুজ্জামান মুঠোফোন বার্তায়  জানান, তিনি কাছাকাছি আছেন।

স্থানীয় সময় গত শুক্রবার রাতে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুকের কাছে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর লন্ডনে আসার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আনোয়ারুজ্জামান লন্ডনে চলে এসেছেন এবং তার সঙ্গে আমার দেখাও হয়েছে।’ আনোয়ারুজ্জামানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা থাকার পরও তিনি কবে ও কীভাবে দেশ থেকে বের হলেন, জানতে চাইলে সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাননি সৈয়দ ফারুক।

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী একজন ব্রিটিশ নাগরিক ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

যুক্তরাজ্যপ্রবাসী আনোয়ারুজ্জামান গত বছরই প্রথম সিলেটের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি যুক্তরাজ‌্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। ২০২৩ সালের ২১ জুন তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ–আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১৯ আগস্ট সিলেটসহ দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার।

সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী রুদ্র সেন হত্যার দায়ে ১৯ আগস্ট সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মোমেনের আদালতে বাদী হয়ে মামলা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শাবিপ্রবির সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলাম। এই হত্যা মামলায় সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাবেক তিন সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও রণজিৎ সরকার, শাবিপ্রবির সদ্য পদত্যাগী উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও সহ–উপাচার্য মো. কবীর হোসেন, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান, জগদীশ চন্দ্র দাস ও রুহেল আহমদকেও আসামি করা হয়।

উল্লেখ্য যে, সিলেটের কোর্ট পয়েন্টে আনোয়ারুজ্জামানের অন্যতম সহযোগী রুহুল আমীন শিপলু উরফে শিবলুকে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণ করতে দেখা যায়। ২রা আগস্ট থেকে ৪ঠা আগস্ট পর্যন্ত সিলেটের রাজপথে ভয়ঙ্কর এসব অস্ত্র প্রদর্শিত হয়েছে। আর এ অস্ত্রের ব্যবহারে চলে গেছে তাজা প্রাণ।

সিলেটের রাজপথে এই অস্ত্রের সঙ্গে শিপলুর নামটি আলোচিত হয়েছে। ইতিমধ্যে শিপলুকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। কে এই শিপলু- এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে; শিপলু যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। ওখানে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গত ২০ শে জুলাই শিপলু সিলেটে আসেন। এরপর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে রাজপথে নামেন। এই সকল অবৈধ অস্ত্রের যোগানদাতা ও সন্ত্রাসের লালনকারী হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিলেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

সূত্রঃ প্রথম আলো

এম.কে
২৫ আগস্ট ২০২৪

আরো পড়ুন

বাংলাদেশী কর্মী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য দরজা খুলছে সৌদি

‘ফোনে আপা আপা বলা’ আ. লীগকর্মী তানভীর বহিষ্কার

অভিনেতা আহমেদ রুবেল আর নেই