12.1 C
London
October 5, 2025
TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিক

সিরিয়ায় মার্কিনী ও যুক্তরাজ্যের ডিটেনশন সেন্টারে চলছে অকথ্য নির্যাতনঃঅ্যামনেস্টি

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের ডিটেনশন সেন্টারে হাজার হাজার মানুষকে বন্দি রেখে অত্যাচার করা হচ্ছে। এই সকল ডিটেনশন সেন্টারে মার্কিন ও ব্রিটিশ নাগরিকরাও বন্দি অবস্থায় আছেন।

দাতব্য সংস্থা তাদের একটি প্রতিবেদনে জানায়, পশ্চিমা সমর্থিত স্বায়ত্তশাসিত কর্তৃপক্ষ পাঁচ বছরেরও বেশি আগে ইসলামিক স্টেট(আইএস) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। সেই যুদ্ধে অনেক লোককে বন্দি হিসাবে তারা ডিটেনশন সেন্টারে আটকে রেখেছে। ডিটেনশন সেন্টারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে।

অ্যামনেস্টি বলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ডিটেনশন সেন্টারের ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত। এই ডিটেনশন সেন্টারের মধ্যে আল-হোল এবং রোজ ক্যাম্পগুলি রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ডিটেনশন সেন্টারে ৫৬,০০০ বন্দী রয়েছে যাদের মধ্যে ৩০,০০০ শিশু এবং ১৪,৫০০ জন মহিলা রয়েছেন। তাছাড়া ২০ জনের মতো বা তারো বেশি ইউকে নাগরিকও এখানে আটকে আছেন। এদের অনেকের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হয়েছে বলে জানা যায় যাদের মধ্যে শামিমা বেগম রয়েছেন। যিনি ১৫ বছর বয়সে পূর্ব লন্ডন হতে বাড়ি ছেড়ে সিরিয়া চলে গিয়েছিলেন।

যুক্তরাজ্য প্যানোরামা নামক একটি বৃহৎ সিরিয়ার ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) সুবিধা সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছে। যেখানে প্রায় ১৫ মিলিয়ন পাউন্ড সহায়তা ফান্ড সরবরাহ করেছে যুক্তরাজ্য। যদিও এই সকল ডিটেনশন সেন্টারে খাদ্য ও চিকিৎসার পর্যাপ্ত সুবিধা নেই বলে জানা যায়। মারাত্মক রোগের প্রাদুর্ভাব সহ অসুস্থতা এবং অন্যান্য কারণে প্রতি সপ্তাহে এক বা দুইজন লোক মারা যাচ্ছে বলে জানায় অ্যামনেস্টি। তাছাড়া যক্ষ্মার কারণেও প্রতিনিয়ত বন্দিরা ধুঁকছেন বলে তারা জানায়।

যুক্তরাজ্যের একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী সাচা দেশমুখ বলেন, “ দুর্দশা, রোগ এবং সম্ভাব্য মৃত্যুর ফাঁদে আটকে আছে যুক্তরাজ্যের অনেক নাগরিক এই সেন্টারগুলোতে। তাদের বেআইনীভাবে আটকে রাখার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তা দায়ী। শামিমা বেগম সহ যুক্তরাজ্যের অন্যান্য আটক নাগরিকের প্রতি যুক্তরাজ্য সরকার কোনো দায়িত্ব পালন করছে না। তারা তাদের নাগরিকদের এভাবে ছুঁড়ে ফেলতে পারে না। ”

প্রতিবেদনে আরো ১২৬ জনের সাক্ষাৎকার নেয়া হয় বলে জানা যায়। যেখানে সকল বন্দিদের দুঃখ, দূর্দশা ও নির্যাতনের কাহিনী উঠে এসেছে। গোপনাঙ্গে বৈদ্যুতিক তার পেঁচিয়ে বৈদ্যুতিক শক, অল্পবয়সী ও নারীদের প্রহরী কর্তৃক ধর্ষণ এইসব সেন্টারের নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার বলে জানা যায়। দাতব্য সংস্থার মতে অপরাধীদের চিহ্নিত করে সাজা প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করতেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনীহা প্রমাণ করে তারা চায় এই সকল বন্দিরা ধুঁকে ধুঁকে মরুক।

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
১৭ এপ্রিল ২০২৪

আরো পড়ুন

ব্রিটেন সরকারকে ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান কেমব্রিজ সিটি কাউন্সিলের

নিউজ ডেস্ক

জনসন অ্যান্ড জনসনের কাশির সিরাপ: সতর্কতা জারি করতে পারে ডব্লিউএইচও

৬০ বছরের রেকর্ডভাঙা শীতল দিন দেখল কুয়েত