সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামীপন্থি দুই আইনজীবী। গত ১৬ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের পরদিন ভোরে ফলাফল ঘোষণার পর থেকে সিলেট বিএনপি পরিবারে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। এ ঘটনায় এবার সিলেট মহানগর কমিটিকে শোকজ করেছে কেন্দ্র।
মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানো নোটিশটি পাঠানো হয়।
নোটিশটি মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েছ লোদী ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বরাবর পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সম্প্রতি সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী প্যানেলকে বিজয়ী করার জন্য সিলেট মহানগর বিএনপি যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আপনি ও সাধারণ সম্পাদকের উদাসীন এবং নির্বিকার ভূমিকার জন্য জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী প্যানেলের বিপর্যয় ঘটে। সুতরাং এহেন দায়িত্বহীনতার কারণে কেন আপনাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব আগামী ৩৬ (ছত্রিশ) ঘণ্টার মধ্যে দলের নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেয়ার জন্য আপনাদেরকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।’
এর আগে দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধানে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম’ কেন্দ্র থেকে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী আলাল, যুগ্ম মহাসচিব মো. কামাল হোসেন ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলনকে দিয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়। আগামী ৭ দিনের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য যে, আওয়ামীলীগ শাসনামলে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম’ সিলেটে নির্বাচনে এতো বিপর্যস্ত হয় নাই। তাই এই নির্বাচন ভরাডুবিকে ঘিরে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃত্বের রাজনৈতিক ব্যর্থতা পরিষ্কার বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
এম.কে
২২ জানুয়ারি ২০২৫