বিশ্বের প্রখ্যাত একটি বিদ্যাপীঠের নাম কানাডার কনকর্ডিয়া ইউনিভার্সিটি। এই ইউনিভার্সিটিতে মেধাবী ও সৃজনশীল শিক্ষার্থীরা স্কলারশিপের জন্য আবেদন করে থাকেন। তবে গোটা বিশ্বের শিক্ষার্থীরা আবেদন করলেও কনকর্ডিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল স্কলারশিপ দেওয়া হয় মাত্র দুটি। এবার এই দুটি স্কলারশিপের মধ্যে একটি অর্জন করেছে বাংলাদেশ, অপরটি রুয়ান্ডা। নি:সন্দেহে বলা চলে এ অর্জন অনেকটা বিশ্বজয়ের মতো।
স্কলারশিপের এই গৌরব অর্জন করেছেন সিলেটের দীপিতা সিনহা। পড়বেন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। স্কলারশিপ বিজয়ী অপর শিক্ষার্থী রুয়ান্ডার রেইন। প্রেসিডেন্সিয়াল স্কলারশিপ অর্জনকারী প্রত্যেকের জন্য সর্বসাকুল্যে কনকর্ডিয়া ইউনিভার্সিটি ব্যয় করবে প্রায় ৫ কোটি টাকা করে।
মেধাবী দীপিতা সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহ ও রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান, গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. নমিতা সিনহার জ্যেষ্ঠ কন্যা। দীপিতা বিশ্বজয়ের পর তাদের পুরো পরিবার কানাডার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। সোমবার তাদের কানাডায় পৌঁছার কথা।
দীপিতা জানান, বিভিন্ন ভাষায় কথা বলার ইচ্ছা তার প্রবল। অনর্গল কথা বলতে পারেন বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী, বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি, কোরিয়ান ভাষায়। এখন ফ্রেঞ্চ ভাষা চর্চা করছি। একের পর এক ভাষা শিক্ষা এটা তার অন্যতম হবি।
দীপিতার মতে, বিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজ। আগের মতো শুধু জাতি-সমাজ নয়, এখন বিশ্বজাতি-বিশ্বসমাজের কি কল্যাণ করা যায় তা নিয়েই ভাবতে হবে।
দীপিতা সিনহার বাবা সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহ বলেন, বাবা-মায়ের চোখে সন্তানরা সব সময়ই শিশু। তাই মেয়েকে একা বিদায় দিতে না পেরে আমরা পুরো পরিবার সঙ্গী হয়েছি। তার ভর্তি সম্পন্ন করে দেশে ফিরব।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অন্যান্য উচ্চশিক্ষার বিদ্যাপীঠ থেকে কানাডার কনকর্ডিয়া ইউনিভার্সিটি অনেকটা ভিন্ন। তারা প্রতিটি সেশনেই খোঁজেন মেধাবী ও সৃজনশীল শিক্ষার্থীদের। ভর্তিতে প্রাধান্য দেন সামাজিক কর্মকাণ্ড, মানবিক ও উদ্ভাবনী মানসিকতা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের।
বিশ্বের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির স্কলারশিপের তালিকা অনেকটা লম্বা থাকে; কিন্তু কানাডার মন্ট্রিলের এই ইউনিভার্সিটি এখানেও ব্যতিক্রম। স্কলারশিপের আবেদন সারা বিশ্ব থেকে জমা হলেও দেওয়া হয় মাত্র দুজনকে। এর নাম কনকর্ডিয়া প্রেসিডেন্সিয়াল স্কলারশিপ।
এম.কে
১৫ আগস্ট ২০২৩