7.2 C
London
November 22, 2024
TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

সিলেটের পাথররাজ্যে ফিরতে শুরু করেছে প্রাণ

সিলেটের পাথররাজ্য সচলে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের খনিজসম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) সম্প্রতি ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের দুই উপপরিচালককে দায়িত্ব দিয়েছে। তারা গেজেটভুক্ত সিলেট ও সুনামগঞ্জের পাথর কোয়ারি পরিদর্শন এবং মূল্য নির্ধারণে ১৪ থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত পরিদর্শন করবে।

পাথর কোয়ারি সচলের উদ্যোগে আশায় বুক বেঁধেছেন কোয়ারিসংশ্লিষ্ট সিলেট ও সুনামগঞ্জের লাখ লাখ শ্রমিক-ব্যবসায়ী। তবে পরিবেশ রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন সারী নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আব্দুল হাই আল হাদি। তিনি বলেছেন, কোয়ারিকেন্দ্রিক অনেকের রুটিরুজি। এটি সচলে ম্যানুয়াল পদ্ধতি অনুসরণ করলেও, পরিবেশ রক্ষায় নীতিমালার সঙ্গে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে।

সিলেট ও সুনামগঞ্জে গেজেটভুক্ত বালুমিশ্রিত ৯টি পাথর কোয়ারি রয়েছে। এর মধ্যে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং ও বিছনাকান্দি, কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ, উৎমা, শাহ আরেফিন টিলা ও রতনপুর, কানাইঘাটের লোভাছড়া ও শ্রীপুর পাথর কোয়ারি এবং সুনামগঞ্জে রয়েছে তাহিরপুরের ফাজিলপুর ও বিশ্বম্ভরপুরের ধোপাজান পাথর কোয়ারি। শাহ আরেফিন টিলাসহ কয়েকটি কোয়ারি সংকটাপন্ন। আবার অনেক কোয়ারিতে নেই পাথর।

যত্রতত্র পাথর উত্তোলন, যন্ত্রের ব্যবহার ও নীতিমালা উপেক্ষা করায় বিগত সময়ে এসব পাথর কোয়ারি বন্ধ করে সরকার। ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের অভিযোগ, একটি বিশেষ মহলকে পাথর আমদানির সুযোগ দিতেই বন্ধ রাখা হয়। কোয়ারি বন্ধে বেকার হয়ে পড়েন ব্যবসায়ীসহ অন্তত ৮ লাখ শ্রমিক।
অতীতে কোয়ারি চালুর দাবিতে ব্যবসায়ী ও শ্রমিক নেতারা মন্ত্রণালয় এবং আদালতে ধরনা দিয়েছেন। রাজপথে আন্দোলনও করেন।

একপর্যায়ে ২০২২ সালের নভেম্বরে তৎকালীন সরকারের জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ নায়েব আলীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বিভিন্ন পাথর কোয়ারি পরিদর্শন করে। পরে তারা প্রতিবেদনে শর্তসাপেক্ষ পাথর কোয়ারি খোলা যেতে পারে মত দেয়। কিন্তু সরকার কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকার সচল না করলেও বন্ধ থাকেনি পাথর উত্তোলন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন ও পরের দিন জাফলং এবং সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রের প্রায় ৩০ কোটি টাকার পাথর চুরি হয়। এখনও বিভিন্ন কোয়ারি থেকে রাতে পাথর চুরি অব্যাহত রয়েছে।

এ অবস্থায় খনিজসম্পদ ব্যুরো গত মঙ্গলবার এক চিঠিতে ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ভূতত্ত্ব) আশরাফ হোসেন ও উপপরিচালক (খনি ও খনিজ) মাহফুজুর রহমানকে দায়িত্ব দেয়। চিঠিতে তাদের সহায়তা করতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ জানিয়েছেন, তিনি এ ধরনের নির্দেশনা পাননি।

ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আশরাফ হোসেন বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব পেয়েছি। নির্ধারিত সময়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জের কোয়ারি পরিদর্শন করে প্রতিবেদন জমা দেব।’

এম.কে
১১ অক্টোবর ২০২৪

আরো পড়ুন

বাতিল হচ্ছে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’

অনলাইন ডেস্ক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’

নিউজ ডেস্ক

রাষ্ট্র আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে চায় কি না, প্রশ্ন ব্যারিস্টার সুমনের